ভারত সফরে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। যার একটি হবে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে। সেই ম্যাচটা দিন-রাতের টেস্ট খেলতে বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবি এখনো কিছু জানায়নি। তবে মুমিনুলদের বিপক্ষে কোহলিদের গোলাপি বলে খেলার জন্য প্রস্ততি শুরু করে দিয়েছে ইডেন।
রাতের ম্যাচে ইডেনে বড় সমস্যা হতে পারে মাঠ। কারণ, নভেম্বর মাসের শেষদিকে শিশির পড়বেই। সেই ‘ডিউ ফ্যাক্টর’ই বড় সমস্যা হয়ে উঠতে পারে ক্রিকেটারদের কাছে। কীভাবে এর মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে এখনই ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি)।
পশ্চিমবঙ্গের একটি দৈনিককে ইডেনের পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমরা চূড়ান্ত নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। কিন্তু ভেতরে-ভেতরে প্রস্ততি শুরু হয়ে গেছে। ইডেনের উইকেট যেমন হয়, তেমনই স্পোর্টিং হবে। গতি থাকবে। এটা সমস্যা নয়। শুধু একটাই ভাবনা। খেলাটা হবে নভেম্বরে। তাও সন্ধ্যাবেলা। শিশির থাকবে। আমাদেরও মাঠ শুকনো করার ব্যাপারে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
ইডেনে যখন ওয়ানডে বা টি-টুয়েন্টি ম্যাচ হয়, তখনও শিশির মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকেন কিউরেটর থেকে মাঠকর্মীরা। ইনিংসের মাঝে-মাঝে বিরতিতে মোটা দড়ি দিয়ে টেনে শিশির ওঠানো হয় ঘাস থেকে। তাই ইডেনে রাতের ম্যাচ নতুন কিছু নয়। শুধু ওয়ানডের জায়গায় টেস্ট। এমনটাই বলছে সিএবি।
গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে। তাতে উইকেট তৈরিতে কিছুটা বাধা এলেও এখন কোনো সমস্যা নেই। সুজন বলেছেন, ‘আমরা যথেষ্ট সময় পাবো ভালো উইকেট করার জন্য।’
সৌরভ গাঙ্গুলি সিএবি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই আমূল বদলে গেছে ইডেনের উইকেট। এখন দেশের অন্যতম সেরা উইকেট ধরা হয় ইডেনকে। সেই ধারাটা ঐতিহাসিক দিন-রাতের টেস্টেও বজায় রাখতে প্রস্তুত ইডেন। এখন শুধু গোলাপি বল উইকেটে পড়ার অপেক্ষা।
ইডেনে ভারত-বাংলাদেশের দিন-রাতের টেস্ট নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী সৌরভও। সোমবার তিনি বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশ বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসানের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলছি। আমি নিশ্চিত, দিন-রাতের টেস্ট হবে। বাংলাদেশ বোর্ড শীঘ্রই জানিয়ে দেবে।’