পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে খুলনার ৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদের অলি গলি। মাইকিং আর খন্ড খন্ড মিছিলে দিন-রাত আনন্দমুখর পরিবেশ এখন খুলনার গ্রামে গ্রামে। প্রথম বারের মত ইউনিয়নে দলীয় প্রতীকে ভোট দিতে পারার আশায় দিন গুনছেন ভোটাররা।
খুলনা জেলার ৯ উপজেলার ৬৯টি ইউয়নের মধ্যে প্রথম ধাপে নির্বাচন হবে ৬৭ টি ইউনিয়ন পরিষদে। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি প্রার্থীদের মধ্যেই মূলত নির্বাচনের লড়াই।
আওয়ামী লীগ সব ইউনিয়নে প্রার্থী দিতে পারলেও বিএনপি প্রার্থী দিতে পেরেছে ৫৭টি ইউনিয়ন পরিষদে। চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড মহিলা মেম্বারসহ মোট প্রার্থী প্রায় ৪ হাজার।
ভোটারদের মন জয় করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছেন সরকার দলীয় প্রার্থীরা। করছেন কুশল বিনিময়। বলছেন উন্নয়নের স্বার্থেই জনগন তাদের নির্বাচিত করবেন। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতিও।
আওয়ামী লীগের একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, এই জাতীয় প্রতীকটা প্রতিটা দ্বারে দ্বারে, মানুষের ঘরে ঘরে পৌছায় দিচ্ছি এবং মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে এই নির্বাচনে এগিয়ে আসছে।
আওয়ামী লীগের অপর একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, আমি যদি মনে করতাম এইখানে আর কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারবে না। তা পারতো না। এটা আমি বলতে পারি বজ্রকন্ঠে। কিন্তু কেউ বলতে পারবে না আমি কাউকে বাধাদান করেছি। জোড়পূর্বক আমি মানুষের ভোটের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করবো না।
প্রচারণার শুরু থেকেই বিএনপি প্রার্থীরা সরকারদলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে তুলেছেন আচারণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ। নিজেদের কর্মী সমর্থকদের হয়রানির অভিযোগও কম নয়।
বিএনপির একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত মাঠে থাকার পরিকল্পনা নিয়েই নেমেছি। এই অঞ্চলের মানুষ আশা করে আছে তার নিজের ভোটটি সেই প্রদান করবে।
বিএনপির অন্য একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, ভোটের পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সামনে কি হবে এখনও বলা যাচ্ছে না। আমরা শঙ্কার মধ্যে আছি।
খুলনার দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ৪০টি ইউনিয়নে আছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তারাও। তবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আছে ১০টি ইউনিয়নে। ২টি ইউনিয়নে আছে বিএনপির মহিলা চেয়ারম্যান প্রার্থী।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা বলেন, সরকারি দলের প্রার্থীর যে হুঙ্কার আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হবে বলে তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছে।
ভোটাররা চান সৎ, যোগ্য, পরিশ্রমী এবং মেধাবী জনপ্রতিনিধিকে। এলাকার উন্নয়নই তাদের একমাত্র চাওয়া।
ভোটাররা বলেন, যারা রোড-ঘাট ভালো করতে পারে জনগণের সেবা করতে পারে তাদেরকেই চাই।
নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন তা মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। আর বিএনপির প্রার্থীরা বলেছেন শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকবেন তারা।