বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারিক সালমনের ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ এর অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যুগ্ম সচিবসহ ৪ জন যুগ্ম সচিব রয়েছেন। জেলা প্রশাসক সম্মেলন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ১৫ দিনের মধ্যে বিষয়টির তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা কী এবং কী হয়েছিল তা জানিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্তে যেই দোষী প্রমাণিত হবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আগে এক তদন্তে তারিক সালমনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এর আগে বরিশালের জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে তদন্ত হয়েছে ইউএনও তারিক সালমনের বিরুদ্ধে। সেখানে তারিক সালমনের বক্তব্য সন্তোষজনক ছিলো না বলে মন্তব্য করেন বিভাগীয় কমিশনার। তবে ওই তদন্তে তারিক সালমনের দোষ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
গাজী তারিক সালমন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকাকালে ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানের একটি আমন্ত্রণপত্র প্রকাশ করেন। ওই আমন্ত্রণপত্রের পেছনের পাতায় পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া একজন শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাপানো হয়।
ওই ছবিতে বঙ্গবন্ধুকে বিকৃত করে উপস্থাপন করে মানহানী করা হয়েছে এমন অভিযোগে গত ৭ জুন ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সালমনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহ সাজু।
গত ১৯ জুলাই বুধবার ওই মামলায় জামিন চাইতে গেলে বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট্র আদালতের বিচারক মো. আলী হোসাইন প্রথমে তাকে কারাগারে পাঠান। তবে কয়েক ঘণ্টা পর তাকে আবার জামিন দেন।
প্রবল আলোচনা-সমালোচনার মুখে রোববার ইউএনওর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। তার অাগে মামলাটির বাদি সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহ সাজুকে দল থেকে বহিস্কার করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। বরিশালের ডিসি গাজী সাইফুজ্জামান ও বরগুনার জেলা প্রশাসক ড. বশিরুল আলমকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে প্রত্যাহার হয়েছে ৫ পুলিশ সদস্য।