কয়েকঘণ্টা পরই লন্ডনের ঐতিহাসিক লর্ডস স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। দুই দলের যে-ই জিতুক, এটি নিশ্চিত যে ২৩ বছর পর নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ।
সেমিফাইনালে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ২৭ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। অন্যদিকে ভারতকে ১৮ রানে হারিয়ে ব্যাক-টু-ব্যাক ফাইনালের টিকিট কেটেছে নিউজিল্যান্ড। ২০১৫ বিশ্বকাপে শিরোপার মঞ্চে অজিদের কাছে হেরেই স্বপ্নচূর্ণ হয়েছিল কিউইদের।
সেরা চারে দাপট দেখিয়ে ফাইনালে স্থান করে নেয়া ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড শিরোপার মঞ্চে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না, সেটি সহজেই অনুমেয়! ইতিহাস-পরিসংখ্যানও বলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাসের কথাই।
বিশ্বকাপের মঞ্চে ৯ বারের সাক্ষাতে ফলাফলের পাল্লাটা নিউজিল্যান্ডের দিকেই ভারি। কিউইদের ৫ জয়ের বিপরীতে ইংল্যান্ড জিতেছে ৪টি ম্যাচে।
আবার চলতি বিশ্বকাপের লিগ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে দাপটে হারিয়েই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। চেস্টার-লি-স্ট্রিটে কিউইদের ১১৯ রানের বড় ব্যবধানে হারায় ইংলিশরা।
১৯৭৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। এরপর ১৯৭৯ এবং ১৯৮৩ বিশ্বকাপেও জয় পায় ইংলিশরা। ১৯৮৩ বিশ্বকাপেই দ্বিতীয় সাক্ষাতে ঘুরে দাঁড়ায় কিউইরা, দারুণ এক জয় পায়। সেই থেকে নিউজিল্যান্ডের আধিপত্যের শুরু!
১৯৯২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারায় নিউজিল্যান্ড। এরপর ১৯৯৬, ২০০৭ এবং ২০১৫ বিশ্বকাপেও জয় পায় তাসমান সাগরপাড়ের দেশটি। ব্যতিক্রম ঘটে এবারের বিশ্বকাপে।
সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে ৯০ বারের সাক্ষাতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দুই দেশের মধ্যে। নিউজিল্যান্ডের ৪৩ জয়ের বিপরীতে ইংল্যান্ড জিতেছে ৪১টি ম্যাচে। দুটি ম্যাচ টাই হয়েছে, চারটি পরিত্যক্ত।
ইংল্যান্ডের শক্তিশালী ব্যাটিংলাইন স্বাগতিকদের এগিয়ে রাখছে ফাইনালের মঞ্চে। তবে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সও জানান দিয়েছে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে।
নিউজিল্যান্ডের মূলশক্তি সেখানে বোলিং অ্যাটাক। লোকি ফার্গুসন ও ট্রেন্ট বোল্টরা দারুণ ছন্দে রয়েছেন। স্পিনে মিচেল স্যান্টনারও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন। মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের ফর্মও ভরসা যোগাচ্ছে কিউইদের। নিউজিল্যান্ডের দুর্ভাবনার মূল জায়গা আসলে ওপেনিং। শ্রীলঙ্কা ম্যাচ বাদে ওপেনাররা উড়ন্ত সূচনা এনে দিতে পারেননি কোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই।