ইংল্যান্ডে স্কুলগামী শিশুদের মধ্যে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনের বেশি শিশু হামের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। এর কারণ হিসেবে শিশুদের ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জনের হাম হতে পারে যদি তারা ভ্যাকসিন না নিয়ে থাকে অথবা হাম হয়েছে এমন কারো সংস্পর্শে আসে।
পাশাপাশি হামের ফলে গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে,যেমন নিউমোনিয়া এবং মস্তিষ্কের প্রদাহ দেখা দিতে পারে যা কখনো কখনো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। ভ্যাকসিন গ্রহণ করলে এ ধরনের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
হামের জন্য অনুমোদিত ভ্যাকসিন এমএমআর এর দুটি ডোজ হাম, মাম্পস এবং রুবেলা থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের রক্ষা করতে সহায়তা করে। এক গবেষণা বলা হয়েছে, এমএমআর ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ হাম এবং রুবেলার বিরুদ্ধে ৯৯% সুরক্ষা দেয় এবং মাম্পসের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৮% সুরক্ষা দেয়।
এছাড়া হাম অত্যন্ত সংক্রামক, করোনার চেয়েও বেশি গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে যখন জনসংখ্যার একটি বৃহৎ অংশ ভ্যাকসিন গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের সুরক্ষিত করে ফেলে তখন রোগটি মানুষের মধ্যে প্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
কিন্তু করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে ইংল্যান্ডে সময়মতো এই ভ্যাকসিন গ্রহণকারী শিশুদের সংখ্যা কমে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কিছু বাবা-মা হয়তো বুঝতে পারেননি যে ডাক্তাররা এখনও অ্যাপয়েন্টমেন্টের শিডিউল দিচ্ছেন অথবা তারা হয়তো ন্যাশনাল হেলথের জন্য বাড়তি ঝামেলা সৃষ্টি করতে চায় না।
ইংল্যান্ডে বর্তমানে দুই বছর বয়সী শিশুদের এমএমআর ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রয়োগের হার এখন ৯০% এর নিচে নেমে এসেছে। এর ফলস্বরূপ পাচঁ বছরের কম বয়সী ১০ জনের মধ্যে একজন শিশু হাম থেকে সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত নয় এবং এতে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
ইংল্যান্ডের পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে, ৯৩.৭% একটি ডোজ এবং ৮৫.৫% দুটি ডোজ গ্রহণ করেছে।
২০১৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা করেছিল, যুক্তরাজ্য হাম নির্মূল করেছে কিন্তু ভ্যাকসিন প্রদান না করলে আবারও হাম ছড়িয়ে পড়তে পারে।