বিজয় একটা ইতিহাসের সাক্ষী হবেন। সেই ইতিহাসটা নেতিবাচক কিংবা ইতিবাচক হতে পারে। পাকিস্তানিরা বিজয়কে মনে রাখবেন সাহসী ক্রিকেটার হিসেবে। বাংলাদেশের কেউ কেউ বলতে পারেন ব্যাপারটা ঝুঁকির হয়ে গেলে। সেই ঝুঁকিটা নিয়েই বিজয় পাকিস্তান সুপার লিগের ফাইনাল খেলতে যাচ্ছেন। রোববার তার দল কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের প্রতিপক্ষ পেশোয়ার জালমি।
পেশোয়ার শুক্রবার রাতে তৃতীয় কোয়ালিফাইয়ারে করাচি কিংসকে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট পায়। কামরান আকমল সেঞ্চুরি করে দলকে ১৮১ রানের সংগ্রহ এনে দেন। জবাব দিতে নেমে করাচি থেমে যায় ১৫৭ রানে। সর্বোচ্চ রান করছেন পোলার্ড। ৪৭ করে দলকে পথে রাখার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পেশোয়ারের জয়কে এক কথায় বর্ণনা করতে গেলে ‘অলরাউন্ডিং পারফর্ম্যান্স’ বলতে হবে। ব্যাটসম্যানদের পর বোলাররা একসঙ্গে জ্বলে ওঠেন। জর্ডান এবং ওহাব রিয়াজ তিনটি করে উইকেট নেন। অন্যরা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে দলের জয়ে অবদান রাখেন।
পিএসএলের ফাইনাল ঘিরে প্রায় বছরখানেক ধরে আলোচনা হচ্ছে। টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ দুবাইতে হলেও পিসিবি পরিকল্পনা করে ফাইনাল রেখেছে লাহোরে।
২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কান টিমবাসে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দেশটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নির্বাসিত। গেল ৮ বছরে এক জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশের নারী দল ছাড়া আর কেউ যায়নি পাকিস্তান সফরে। নিজ দেশে ক্রিকেট ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটির বোর্ড। লাহোরে পিএসএলের ফাইনাল আয়োজন সেই মহড়ারই অংশ।
পিসিবি অনেক চেষ্টা করছে আইসিসির পূর্ণ সদস্যের দেশগুলো থেকে একজন করে প্রতিনিধিকে ফাইনালে উপস্থিত রাখতে। তারা দেখাতে চান, ক্রিকেটের জন্য পাকিস্তান নিরাপদ।
কোয়েটার বিদেশি ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন, টাইমাল মিলস, লুক রাইট, নাথান ম্যাককালাম লাহোরে ফাইনাল খেলতে অস্বীকৃতি জানালে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাক পড়ে বাংলাদেশের বিজয়ের। বিজয়ও প্রস্তাবটা গ্রহণ করে বিসিবির কাছে ছাড়পত্র চান। আলোচনার পর তাকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। শনিবার তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।