মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে ডো বাইডেনকে জয়ী ঘোষণার পথে বাধা তৈরির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে ট্রাম্প শিবির। তাদের করা মামলা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আপিল আদালতেও বাতিল হয়ে গেছে।
সেখানকার তিন বিচারকের প্যানেলের মতে, এই মামলার কোনো যোগ্যতা নেই। ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ তোলেনি বা কোনো প্রমাণ সরবরাহ করেনি।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যাটেলগ্রাউন্ডে লাখ লাখ মেইলে আসা ভোট বাতিল চেয়ে করা ট্রাম্প প্রচারণা শিবিরের করা মামলা বাতিল করে দেন পেনসিলভানিয়ার নিম্ন আদালত। সেই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিলো ট্রাম্প শিবির।
আপিল আদালতের মন্তব্য জানিয়ে বিচারক স্টেফানোস বিবাস বলেন, মুক্ত ও স্বচ্ছ নির্বাচন আমাদের গণতন্ত্রের প্রাণশক্তি। সেখানে স্বচ্ছতার অভিযোগ তোলা গুরুতর বিষয়। তবে কোনো নির্বাচনকে অস্বচ্ছ বললেই তা সেরকম হয়ে যায় না।
ট্রাম্পের মনোনীত বিচারক বিবাস বলেন, যেকোনো অভিযোগ নির্দিষ্ট হতে হয় এবং তারপরে প্রমাণ করতে হয়। যার কোনোটাই এখানে নেই।
৩ নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা ঘোরানোয় ট্রাম্পের প্রচেষ্টায় আরো একটি বড় ধাক্কা এটি। যদিও বৃহস্পতিবারে তিনি বলেন, জো বাইডেনকে জয়ী ঘোষণা করা হলে তিনি হোয়াইট হাউজ ছেড়ে দিবেন।
পরে শুক্রবার তিনি আবার নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। এক টুইটে তিনি লিখেন, বাইডেন শুধু তখনই প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করতে পারবে; যদি তিনি প্রমাণ করতে পারেন তার ৮ কোটি ভোট জালিয়াতি করে বা অবৈধভাবে অর্জন করা হয়নি।
নির্বাচনের ফলাফল আসার পর থেকেই হার স্বীকার করতে অসম্মত ট্রাম্প এবং এরপর থেকেই কোনো প্রমাণ ছাড়াই নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে যাচ্ছেন তিনি। এই ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা মার্কিন নির্বাচনের ধারাও ব্যহত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে প্রার্থীকে ২৭০টি ইলেক্ট্রোরাল ভোট পেতে হয়। সেখানে জো বাইডেন পেয়েছেন ৩০৬টি আসন আর ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি আসন।