পথশিশুদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে শিশু পাচারকারী সন্দেহে আটক আরিয়ান আরিফসহ ‘মজার ইশকুল’র ৪ স্বেচ্ছাসেবকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন সংগঠন। প্রচলিত আইনে সংগঠন নিবন্ধন আর পুলিশের মৌখিক অনুমতি নিয়েই শেল্টার হোম চলছিলো বলে জানানো হয় মানববন্ধনে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অদম্য বাংলাদেশ ফাউণ্ডেশন কমলাপুরের কো-অর্ডিনেটর ওয়াসিফা জান্নাত বলেন, অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন মানবপাচারের সাথে জড়িত থাকলে আজ রাজপথে মানববন্ধন করতে দাঁড়াতাম না। আমরা বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান (২৮ জানুয়ারি ২০১৫)। আমরা দ্রুত আমাদের স্বেচ্ছাসেবকদের মুক্তি চাই।
শেল্টার হোম পরিচালনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমোদনের প্রসঙ্গে ওয়াসিফা বলেন, আমরা শেল্টার হোম ‘বায়ান্ন’ চালুর জন্য থানা থেকে মৌখিক অনুমোদন নিয়েছিলাম। আমাদের সব কার্যক্রম ফেসবুকের মাধ্যমে প্রতিদিন জানানো হতো। কিন্ত ভাগ্যর কী নির্মম পরিহাস, যে শিশুদের জন্য আমরা হাত খরচের টাকা বাচিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেছি, সেসব শিশু পাচারের অভিযোগে মামলা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এমন অবস্থা হলে যারা পথ শিশুদের নিয়ে কাজ করে, তারা আর সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করতে চাইবে না।
মানব বন্ধনে আরেক সংগঠক শাকিল আহমেদ বলেন, তদন্তের মাধ্যমে আদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চার স্বেচ্ছাসেবীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার অনুরোধ করছি।
মানব বন্ধনে তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন আমজনতা ফাউন্ডেশন, প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন এবং কল ফর ব্লাড। আগামীকাল শুক্রবার তাদের সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে।