বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা যথেষ্ট সহনশীলতার পরিচয় দিচ্ছি তার একটিমাত্র কারণ আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা বিশ্বাস করি, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়েই সরকারের পরিবর্তন হবে।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত ‘ফরমায়েশী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল কর’ শীর্ষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গোটা দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। তারা পরিবর্তন চায়। এই পরিবর্তনটা নিঃসন্দেহে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। সেই নির্বাচন অবশ্যই সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে হবে।
তিনি বলেন, আজ গোটা বাংলাদেশ শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। ২৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা দেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে কেন, বিরোধীদের হামলা মামলা দেয়া হচ্ছে কেন? এসবের একটাই কারণ তারা ইতোমধ্যে জেনে গেছে যে খালেদা জিয়া মুক্ত হলে, বিএনপি নির্বাচনে গেলে তাদের কোন অস্তিত্ব থাকবে না।
খালেদার মুক্তির জন্য এদেশের মানুষ যেকোনো সময় ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। খালেদা মুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের জনগণ রাস্তায় নেমে আসবে সরকারের পতন ঘটাবে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের অবস্থান কী, নির্বাচন কমিশন নিজেরাই বিভক্ত হয়ে পড়েছে। নির্বাচন কমিশনে আজকে যে সংকট তৈরি হয়েছে এটাই বাংলাদেশের সংকট। বহু আগে থেকেই বলে আসছি, এই নির্বাচন কমিশন যোগ্য নয়।
‘বাস্তবতা হলো এই কমিশনের নিজস্ব কোনো স্বাধীনতা নেই। তারা যেনতেন নির্বাচন করে সরকারকে ক্ষমতায় বসাতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আবারও বলছি কেউ বিভ্রান্তিতে পড়বেন না। সোজা রাস্তায় আসুন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, তার সঙ্গে বসুন, সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসুন। এর বিকল্প নেই। অন্যথায় সকল দায় দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে।
জাগপার সহসভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, শফিউল আলম প্রধানের ছেলে রাশেদ প্রধান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রমুখ।