বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ উদযাপন করছে বাংলাদেশ। বাংলা নতুন বছর-১৪২৪ সালকে স্বাগত জানিয়ে বর্ণিল উৎসবে মেতেছে বাঙালি। গত বছর মঙ্গল শোভাযাত্রাকে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা-ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করার পর এ বছর তা ভিন্নমাত্রা পেয়েছে। নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, ‘বাংলা নববর্ষ বাঙালি জাতির আবহমানকালের সর্বজনীন ও অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক উৎসব। বাংলা নববর্ষের মধ্যে নিহিত রয়েছে বাঙালির আত্মপরিচয়, উত্থান এবং জাতিসত্তা বিকাশের শেকড়।’ বাংলা নববর্ষ এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘অতীতের ভুলত্রুটি এবং গ্লানি ভুলে জীবনের সমৃদ্ধির প্রত্যাশায় আমরা আশায় বুক বাঁধি নতুন বছরের প্রথম দিনে। দেনা-পাওনা চুকিয়ে নতুন করে শুরু হয় জীবনের জয়গান।’ নববর্ষ উদযাপনে এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি। রমনা বটমূলের অনুষ্ঠানে হামলাকারী জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির ফাঁসির একদিন পর এবারের বর্ষবরণ বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। আমরা মনে করি, বর্ষবরণের অনুষ্ঠানকে নিয়ে প্রতিক্রিয়াশীলদের জন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। যতই হুমকি আসুক– দেশের মানুষ প্রতিক্রিয়াশীল জঙ্গিগোষ্ঠিকে প্রতিরোধ করবে- এই হোক নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা। শুভ নববর্ষ।