১৩ মাসের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ডেভিড ওয়ার্নার। তারপরও বুকভরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে যাচ্ছেন অজি ওপেনার। কারণ, অবশ্যই আইপিএল। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই মারকাটারি ব্যাট করছেন এ বাঁহাতি।
বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য দেশে ফিরে যাচ্ছেন ওয়ার্নার। তার আগে সোমবার হায়দরাবাদের জার্সিতে খেলা শেষ ম্যাচেও দুর্দান্ত ছিলেন। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৫৬ বলে ৮১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন এ ওপেনার। তার দল সানরাইজার্সও গড়ে ২১৩ রানের বিশাল স্কোর। পরে জয় পায় ৪৫ রানে।
১১ ম্যাচে ৬৯.২ গড় ও ১৪৩.৮৬ স্ট্রাইকরেটে আইপিএলের চলতি আসরে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ওয়ার্নার। করেছেন ৬৯২ রান। ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হন তৎকালীন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। দুই সেরা তারকার অনুপস্থিতি কঠিন সময় গেছে অস্ট্রেলিয়া দলের। একের পর এক হারে নাজেহাল হওয়ার পর ফর্মে ফিরেছে দলও। স্মিথ-ওয়ার্নারের শাস্তির মেয়াদ শেষ হতে হতেই ফর্মে ফেরে অস্ট্রেলিয়া। যদিও তখন দলে ছিলেন না দুজনের কেউই। সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত প্রতাপে ওয়ানডে সিরিজ জেতে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ওয়ার্নারের মতো খেলোয়াড় বিশ্বকাপ সামনে রেখে ফর্মে ফেরায় অস্ট্রেলিয়া আসরের অন্যতম ফেভারিট দল হয়ে গেছে। যেটা কয়েকমাস আগে ভাবা হয়নি। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে নামার আগে ড্যাসিং ব্যাটসম্যানের জন্য আদর্শ প্রস্তুতি হয়েছে আইপিএলে। এখন আইপিএলের এই ঝড়টা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, অর্থাৎ বিশ্বকাপেও তুলতে চান ওয়ার্নার।
‘ইংল্যান্ডে হতে যাওয়া এই বিশ্বকাপে কিছু হাই-স্কোরিং ম্যাচ দেখা যাবে। আমরা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, সে হিসেবে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণের জন্য আমাদের সেরাটা দিতে হবে। আমিও সেদিকে তাকিয়ে আছি।’
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের দায়ে ১২ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হন ওয়ার্নার-স্মিথ। তাদের সঙ্গে শাস্তি দেয়া হয় আরেক ব্যাটসম্যান ক্যামেরন বেনক্রফটকেও। শাস্তি কাটিয়ে তিনজনই ক্রিকেটে ফিরেছেন।
নিষেধাজ্ঞার সময়কার বিরতিটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন ওয়ার্নার। তার মতে, এই বিরতি তাকে মাঠ ও মাঠের বাইরে অনেক পরিণত করেছে।