জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) প্রধান ডেভিড বেসলি আবারো আফগানিস্তানের মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, আফগান জনগণ বেঁচে থাকার জন্য তাদের সন্তান এবং তাদের দেহের বিভিন্ন অংশ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আফগানিস্তানকে সাহায্য করতে আবারো আহবান জানিয়ে তিনি বলেছেন, বর্তমানে দেশটির অর্ধেকেরও বেশি মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।
ডব্লিউএফপির বরাতে এনডিটিভি জানায়, আফগানিস্তান খরা, মহামারী, অর্থনৈতিক পতন এবং বছরের পর বছর ধরে চলা সংঘাতের কারণে বিপর্যয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হচ্ছে। এই শীতে অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হবে এবং চলতি বছরে জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নীচে নেমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা।
ডয়চে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বেসলে বলেন, ২০ বছরে তালেবানের সঙ্গে সংঘর্ষের কারনে আফগানিস্তান ইতিমধ্যেই বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশে পরিনত হয়েছে। দেশটি চরম বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে। দেশটিতে ৪ কোটি মানুষের মধ্যে ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।
তিনি জানান, আফগানিস্তানে একজন মহিলার তার মেয়েকে অন্য পরিবারের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের আশা, ওই পরিবারে গিয়ে তার মেয়ে ভাল খাবার ও বস্ত্র পাবেন।
বর্তমান ক্ষুধা সংকট সমাধানে সাহায্য করার জন্য বিসলে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই করোনয় বিশ্বের বিলিয়নামদের অর্থ উপার্জন আরো বেড়ে গেছে । আফগানস্তানের সংকট মোকাবেলায় বিলিয়নরা সহায়তা করতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি এবং বিশেষ দূতরা ২৪শে জানুয়ারী অসলোতে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে তালেবানের প্রতিনিধি এবং নাগরিক সমাজের অভিনেতাদের সাথে বৈঠক হযয়েছে। ওই বৈঠকে আফগানদের দুর্ভোগ কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি তুলে ধরেন।