গ্রামীণ ফোনের পর অবশেষে বহুজাতিক মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বুধবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪১তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়ত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আজকের সভায় রবি আজিয়াটা লিমিটেডের আইপিওর অনুমোদনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। রবি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ইস্যু করবে। এসব শেয়ার ছাড়ার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করবে রবি।
এর মধ্যে ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকার শেয়ার আইপিওতে ইস্যু করা করা হবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য। বাকি ১৩৬ কোটি ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৪০ টাকার শেয়ার ইস্যু করা হবে কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য।
বিএসইসি থেকে জানা গেছে, রবির ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা। আর পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৬৪ পয়সা।
কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজারে আনতে ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট।
মালয়েশিয়ান রবি আজিয়াটা গ্রুপ বাংলাদেশের রবি আজিয়াটার ৬৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক। রবির সঙ্গে এয়ারটেলের বাংলাদেশ কার্যক্রম একীভূত হওয়ার মাধ্যমে ভারতী এয়ারটেল রবি আজিয়াটার ২৫ শতাংশের মালিক। বাকী অংশের মালিক জাপানি কোম্পানি এনটিটি ডকোমো। তবে ডকোমোর ওই শেয়ার ভারতী এয়ারটেলের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, যার হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা কেবল বাকি।
এর আগে ২০০৯ সালে টেলিকম খাতের প্রথম কোম্পানি হিসেবে গ্রামীণফোন শেয়ারবাজারে যুক্ত হয়। আর এ খাতের দ্বিতীয় কোম্পানি হিসেবে শেয়ারবাজারে আসার অনুমোদন পেল রবি আজিয়াটা।