অগ্নি নিরাপত্তা বাড়াতে দেশব্যাপী ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অাসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক ফায়ার সেফটি এবং নিরাপত্তা এক্সপ্রো-২০১৮’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অগ্নি নিরাপত্তাসহ দেশের সকল প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ-ঝুঁকি হ্রাস এবং সংঘটিত দুর্যোগে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিভেন্স অধিদপ্তর।
‘তবে সামগ্রিকভাবে সারাদেশের দুর্যোগ-ঝুকি কমিয়ে আনা এবং সংঘটিত দুর্যোগ মোকাবেলা করা এককভাবে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দুরূহ। এক্ষেত্রে বেসরকারী উদ্যোগ এই দুরূহ কাজটি সহজসাধ্য করে তুলতে পারে।’
আগে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা ছিল না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বসুন্ধরা সিটি ও তাজরিন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আমরা চেয়ে চেয়ে দেখেছি, কারণ তখন ইকুইপম্যান্ট ছিল না। এখন ফায়ার সার্ভিসের অনেক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিস সবার আগে ঘটনাস্থলে যেয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের আগে সারা দেশে ১৯৩ টি ফায়ার স্টেশন ছিল। বর্তমানে সেটি বেড়ে হয়েছে ৩৩৫টি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এর সংখ্যা হবে ৫৫৪টিতে।
র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী হয়েছি। এ ধারা বজায় রাখতে সেফটি ও সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা অনেক টাকা খরচ করে সিকিউরিটি প্রোডাক্ট কিনতে প্যারিস, দুবাই, শিকাগো যাই। আমরা চাই আমাদের দেশেই এসব তৈরি হোক। ভবিষ্যতে আমরাই এসব যন্ত্রপাতি রপ্তানি করবো।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমেদ খান বলেন, এই প্রদর্শনী সব ধরণের প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি গ্রেট প্ল্যাটফর্ম। এখানে আন্তর্জাতিক সব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি রয়েছে। আশা করি সবাই এতে উপকৃত হবেন।
এ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময় অগ্নিনির্বাপকের ঘটনায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালনের জন্য ১০ জন ফায়ার ফাইটারকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই এক্সপো চলবে আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত। এই এক্সপোতে ৩০টি দেশের ৬০ প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।
ফায়ার এক্সপোর আয়োজন করেছে ইলেক্ট্রনিকস সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব)। এছাড়াও কো-পার্টনার হিসেবে রয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।