সাউদাম্পটনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজে চতুর্থ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে লড়াই জমিয়ে তুলেছে ভারত। দিনশেষে ইংলিশদের দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৬০। জো রুট বাহিনী এগিয়ে ২৩৩ রানে। চতুর্থদিন লিড আরেকটু বাড়িয়ে নিতে পারলে সিরিজে সমতা ফেরানোটা কোহলিদের জন্য যেমন কঠিন হতে পারে, আবার দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানো সফরকারীরা ইতিবাচক স্বপ্নও দেখতে পারে।
ম্যাচে ফিফটি ফিফটি অবস্থাই বলা যায়। যদিও ভারতীয় ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মত, কোহলি যুগের সবচেয়ে বড় পরীক্ষার সামনে ভারত। রোববার শেন ওয়ার্নের কাউন্টি মাঠে সেই পরীক্ষা দিতে নামবেন তারা।
এই টেস্ট জিতে ডন ব্র্যাডম্যানের দলের ইতিহাস তাড়া করতে গেলে ভারতকে অন্তত আড়াইশো তুলতে হবে শেষ ইনিংসে। পারলে কোহলি যুগের তো বটেই, ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা জয় হবে এটি।
বিনা উইকেটে ৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন অ্যালিস্টার কুক ও কিটন জেনিংস। খেলা শুরু হওয়ার পরপরই দুটি উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ১২ রান করে বুমরাহ’র বলে প্রথমে আউট হন কুক। ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে তিনে নামা মঈন আলীও ভালো করতে পারেননি। তিনি ফেরেন ৯ রান করে। জেনিংস ৩৬ ও রুট ৪৮ রানে আউট হন।
জনি বেয়ারস্টো খাতা না খুলে আউট হওয়ার পর ৩০ রান করে ফেরেন বেন স্টোকস। তবে ৬৯ রান করে ইংল্যান্ড লড়াইয়ে ফেরান জস বাটলার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন স্যাম কারেন। ১১ রান করে রশিদ খান ফিরলেও ভারতের পথে বড় কাঁটা হয়ে কারেন অপরাজিত ৩৭ রানে।
ইংল্যান্ডের যে লিড হয়ে গেছে তাতেই বিপদ দেখতে পারে ভারত। কারণ দুটি সাম্প্রতিক উদাহরণই ভারতীয় সমর্থকদের উদ্বেগে রাখছে। চলতি বছরই সাউথ আফ্রিকা ২০৮ রানের টার্গেট ছিল। কোহলিরা পারেননি। আর চলতি সিরিজে এজবাস্টনে চতুর্থ ইনিংসে জেতার জন্য দরকার ছিল ১৯৪। শেষ ইনিংসে ১৬২ অলআউট হয়ে তারা। প্রথম টেস্ট হারেন ৩১ রানে।
পরিসংখ্যানও খুব একটা ভারতের পাশে নেই। দেখা যাচ্ছে, এশিয়ার বাইরে দু’শোর ওপর রান তাড়া করতে নেমে ৬১ টেস্টের মধ্যে ভারত জিতেছে কেবল তিনবার, হেরেছে ৩৬ বার। ড্র ২২।