শেরপুরের নকলার পাইশকা ও পূর্বলাভা গ্রাম দুটি পরিচিতি পেয়েছে কম্পোস্ট গ্রাম নামে। ওই দুই গ্রামের কৃষক ফসল চাষাবাদে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে শুরু করেছেন জৈব সারের ব্যবহার।
আগে শুধু এক জায়গাতেই কৃষক গোবর জড়ো করতেন। এখন বাড়ির এক কোনায় একটি বা দুটি গর্ত করে পাড় বেঁধে তার ওপর টিনের বা পলিথিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি করছেন চালা কম্পোস্ট। এসব গর্তে গোবর ছাড়াও বাড়ির আবর্জনা, লতাপাতা, চুলার ছাই, খড় ফেলা হচ্ছে। এতে বাড়ির পরিবেশ যেমন পরিচ্ছন্ন থাকছে তেমনি পাওয়া যাচ্ছে উৎকৃষ্ট মানের জৈব সারও।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, সরিষা ক্ষেতে জৈব সার ব্যবহার করে ভালো ফলন পেয়েছেন। চাষাবাদ খরচও কম হয়েছে। গৃহস্থালী ময়লা-আবর্জনা এক জায়গায় ফেলায় পরিবেশও থাকছে পরিচ্ছন্ন।
জৈব সার তৈরীর জন্য কৃষককে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নকলা উপজেলা কার্যালয়। ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির অর্থ দিয়ে কম্পোস্টের গর্ত ও চালা তৈরি করে দিয়ে সহযোগিতা করছে গৌড়দ্বার ইউনিয়ন পরিষদ।
গৌড়দ্বার ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান হীরা জানান, কৃষক যে জৈব সার উৎপাদন করছে তার পরে আর রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হচ্ছে না।
পাইশকা ও পূর্বলাভা গ্রামে কম্পোস্টে জৈব সার তৈরির সাফল্য স্থানীয় কৃষক, কৃষি কর্মকর্তাদের অনেক আশাবাদী করে তুলেছে।
কৃষি কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন জানান, গত বোরো মৌসুমে কৃষক জমিতে জৈব সার ব্যবহার করে সুফল পেয়েছে। এধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বর্তমানে গৌড়দ্বার ইউনিয়নের পাইশকা ও পূর্বলাভা গ্রামের চারশো’ কৃষক পরিবার চালা কম্পোস্ট পদ্ধতিতে তৈরি করছেন জৈব সার ।