মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের পোর্টসন এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের দেয়াল ধসে হানিফ মিয়া (৩৮) নামের একজন নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
বুধবার ১৩ ডিসেম্বর পাকুন্দিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম দুর্ঘটনায় হানিফের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
হানিফ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌরসভার উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত ইসরাইল ভূঁইয়ার ছেলে। বাড়িতে হানিফ মিয়ার স্ত্রী শিখা আক্তার, পপি নামের এক মেয়ে এবং সিয়াম নামের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। হানিফের মৃত্যুর খবরে বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। হানিফের লাশ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি স্বজনদের।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হানিফ ছোট অবস্থায় পিতা-মাতাকে হারিয়ে ফুফুর বাড়িতে বড় হন। পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে তিনি পড়ালেখা করতে পারেননি। সংসার ভালভাবে না চালাতে পারায় প্রায় ১২ বছর আগে আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে ঋণ করে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। তিনি সেখানের একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
প্রতিদিনের ন্যায় কাজ করার সময় মঙ্গলবার রাত ৮টায় নির্মাণাধীন দেয়াল ধসে চাপা পড়ে তার মৃত্যু হয়। এ সময় তার সাথে থাকা দু’জন সহকর্মী গুরুতর আহত হন। পরে মালয়েশিয়ায় ওই এলাকায় বসবাসরত সোহেল নামের তাদের এক আত্মীয় মুঠোফোনে হানিফের মৃত্যুর খরবটি তার পরিবারকে জানান।
হানিফের স্ত্রী শিখা আক্তার, কন্যা পপি ও ছেলে সিয়াম কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের আহাজারিতে আশপাশের লোকজনসহ আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এসময় নিহতের স্বজনরা লাশ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, মালয়েশিয়ায় দুর্ঘটনায় হানিফ নিহতের ঘটনাটি আমি শুনেছি। নিহত হানিফের লাশ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করবো।