অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে সেমিফাইনালে মারুফ মৃধার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ ধসে দিয়েছিল বাংলাদেশ। পরে আরিফুল ইসলামের ৯৪ রান ও আহরার আমিনের ৪৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমিতে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটে পাঠায় বাংলাদেশ। নেমে ৪২.৪ ওভারে ১৮৮ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। জবাবে ৪২.৫ ওভারে ৬ উইকেট খুইয়ে জয়ে নোঙর ফেলে যুবা টাইগার বাহিনী।
অন্য সেমিতে পাকিস্তানকে ১১ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক আরব আমিরাত। টসে জিতে আমিরাতকে আগে ব্যাটে পাঠায় পাকিস্তান। ৪৭.৫ ওভারে ১৯৩ রানে গুটিয়ে যায় আমিরাত। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৪৯.৩ ওভারে ১৮২ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
আগামী ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১১টায় ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও আরব আমিরাত।
শুক্রবার ভারতকে ব্যাটে পাঠিয়ে শুরু থেকে চেপে ধরে টাইগার বোলার বাহিনী। ৬১ রানে ৬ উইকেট তুলে নেন মারুফ ও বর্ষণরা, চাপের মুখে সপ্তম উইকেট জুটিতে হাল ধরেন মুসীর খান ও মুরুগান অভিষেক। ৮৪ রানের জুটি গড়েন দুজনে। ফিফটি পূর্ণ করেছেন দুজনই।
৩৩.৫ ওভারে দলীয় ১৪৫ রানে মুসীরকে ফেরান মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ৬১ বলে ৫০ রান করেন মুসীর। পরের ওভারে শামি পান্ডেকে ফেরান শেখ পারভেজ জীবন। ৫ বলে ১ রান করেন শামি। ৪০তম ওভারের তৃতীয় বলে মুরুগানকে ফেরান মারুফ। ১৮৮ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস।
টাইগার বোলারদের হয়ে মারুফ মৃধা ১০ ওভার বল করে ৪১ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট। রোহনাত দৌলা বর্ষণ ও শেখ পারভেজ জীবন ২টি করে উইকেট নেন।
জবাবে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম ওভারে ওপেনার জিসান আলমের উইকেট হারায় টিম টাইগার্স। রানের খাতা খোলার আগে ফিরে যান টাইগার ওপেনার। ষষ্ঠ ওভারে দলীয় ২১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ফিরে যান ১৯ বলে ১৩ রান করে।
দশম ওভারে ৩৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় যুবা টাইগার দল। ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলী ফিরে যান ২২ বলে ৭ রান করে। পরে ১৩৮ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন আরিফুল ইসলাম ও আহরার আলম। ৩৭.২ ওভারে দলীয় ১৭২ রানে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে ফিরে যান আরিফুল। নয়টি চার ও চারটি ছক্কায় ৯০ বলে ৯৪ রান করে যান আরিফুল।
এরপর ১৭ রান টপকাতে গিয়ে আরও দুই ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ। ৩৯.২ ওভারে দলীয় ১৮৪ রানে ফিরে যান ৭ বলে ৯ রান করা মোহাম্মদ শিহাব জেমস। ৪১.২ ওভারে জয় থেকে দুই রান দূরে থাকতে আহরার আমিন ফিরে যান ১০১ বলে ৪৪ রান করে।
জয় নিশ্চিত করেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও শেখ পারভেজ জীবন। ভারতের হয়ে নামান তিওয়ারি ৩ উইকেট নেন। রাজ লিমবানি নেন ২ উইকেট।