সমাবেশে করার অধিকারকে গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করা হয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। সমাবেশ, বা প্রতিবাদ, মানুষকে দল গঠন এবং মতের বিনিময় করার সুযোগ দেয়। এই বিষয়গুলো একটি স্থিতিশীল সমাজ গঠনে অবদান রাখে এবং সেই সাথে মানবাধিকারকে মূল্য দেয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ওয়েবসাইট শেয়ার আমেরিকায় এ সংক্রান্ত একটি ফিচার প্রকাশ করা হয়েছে।
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে কিছু উল্লেখযোগ্য সামাজিক সংস্কার সাধিত হয়েছে। এর মধ্যে আছে ১৯২০ সালে অর্জিত মার্কিন নারীদের ভোটাধিকার এবং ১৯৬০ এর দশকের যুগান্তকারী মার্কিন নাগরিক অধিকার আইনের মতো বড় কিছু পরিবর্তন। তাই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমে সামাজে পরিবর্তন আনার বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্রে আদর্শ হিসেবে দেখা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের কিছু শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের উদাহরণ দেয়া হয়েছে, যার মধ্যে ২০১২ সাল থেকে ১৯০ শহরে চলা ফাস্ট-ফুড শিল্পে কর্মরতদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনের কথা বলা হয়েছে। ওই বিক্ষোভের পরে সিয়াটল ও সান ফ্রান্সিসকো মজুরি বৃদ্ধি করেছে। চলতিবছরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সময় ৪ লাখ মানুষের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অক্টোবরে শিকাগোতে কর্মপরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুবিধার দাবিতে ধর্মঘটের এবং পুরো যুক্তরাষ্ট্রের ১ লাখ নার্সদের আন্দোলনের কথা।
সম্প্রতি কীভাবে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ইতিবাচক পরিবর্তন আনে তা জানিয়ে নিজেদের ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। ভিডিওটিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন থেকে প্রাপ্ত কয়েকটি ফলাফলের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এই পোস্টের ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে গত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অন্দোলনের সহিংসতা নিয়ে বিবৃতি দেয় ৭টি দেশ। এরা হলো-অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, সাউথ কোরিয়া, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় রাজনৈতিক সমাবেশের সময় সহিংসতার ঘটনায় তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে নিহত ও আহতদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে। এছাড়াও বিবৃতিতে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে সকল অংশগ্রহণকারীকে সংযম প্রদর্শন, সহিংসতা পরিহার এবং একযোগে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।