রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সাক্ষাৎ করতে রাশিয়ায় গিয়েছেন নর্থ কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। চলমান সংকট মোকাবেলায় এই দুই নেতার বৈঠক ঘিরে তৈরি হচ্ছে নানান কথা। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, পশ্চিমা বিশ্বেকে মোকাবেলা করতেই এই দুই নেতা এক অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হতে চাইছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, উভয় জাতি একে অপরের জন্য কাছের মিত্র হয়ে উঠতে পারে কারণ বেশ কিছু দিক থেকে দুই দেশের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে।
দুই দেশের কাছেই এমন কিছু রয়েছে যা অন্য দেশের প্রয়োজন। নর্থ কোরিয়ার রয়েছে বেশকিছু অত্যাধুনিক আর্টিলারি অস্ত্র যা রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার জন্য ব্যবহার করতে পারে। আবার মহামারির পর থেকেই সীমান্ত বন্ধ এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশটিতে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও জ্বালানি সংকট যেখানে রাশিয়া বিশ্বের অন্যতম খাদ্য ও জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশ। কিমের রাশিয়া সফরকালে তিনি পুতিনের কাছে পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়ন ঘটানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির সহায়তা চাইতে পারেন।
আবার উভয় দেশই যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমাদেরকে নিজেদের শত্রু মনে করে। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে দুই দেশই অনেকটা একঘরে হয়ে পড়েছে। তাছাড়া নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া চীনের ওপর অনেকটা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। একইভাবে নর্থ কোরিয়াও চীনের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল।
এই কারণগুলোই পশ্চিমাদের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে। একদিকে রাশিয়া যেমন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কতা পাঠিয়েছে যে রাশিয়া তার পছন্দমত বন্ধু নির্বাচন করতে পারে তেমনভাবেই নর্থ কোরিয়া সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে তার প্রতিবেশী সাউথ কোরিয়ার কাছে।