চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় এস. আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের একটি গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে গেছে ১ লাখ টনের মতো অপরিশোধিত চিনি। তবে পর্যাপ্ত চিনি সংরক্ষণে আছে এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রভাব বাজারে পড়বে না বলে জানিয়েছে এস. আলম গ্রুপ।
গতকাল (৫ মার্চ) মঙ্গলবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এস. আলম গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক আখতার হাসান বলেন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব রিফাইন মিলটির কার্যক্রম শুরুর জন্য চেষ্টা করছি। কারখানা চালু হলে চিনির গুদামে ঘটে যাওয়া এই অগ্নিকাণ্ডের দীর্ঘস্থায়ী কোন সংকট থাকবে না বলে আমরা মনে করি। আগুন লাগা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত পরিমাণে চিনি মজুত থাকায় বাজারে এর কোন প্রভাব পড়বে না বলে আশাবাদী এস. আলম গ্রুপ। অনেক অসাধু বিক্রেতা হয়তো এই পরিস্থিতিতে সুবিধা নিতে চাইবেন। তবে বাজারে সরবরাহের জন্য যথেষ্ট চিনি আমাদের কাছে মজুত রয়েছে। আগামী কয়েক দিনেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
এস. আলম গ্রুপ জানিয়েছে, রমজানকে সামনে রেখে মর্মান্তিক এই অগ্নিকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব চিনির বাজারে পড়বে কি না সে বিষয়ে দুর্ভাবনায় রয়েছে সাধারণ ভোক্তারা। তবে ভোক্তাদের চাহিদামাফিক বাজারের জন্য পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে ১০ থেকে ১২ দিনের পরিশোধিত চিনি প্রস্তুত রয়েছে। ঘটনাস্থলের আশেপাশেই অবস্থিত চিনির অন্য ৩ থেকে ৪টি গুদাম আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, সেখানে ৬ থেকে ৭ লাখ টন অপরিশোধিত চিনি মজুত আছে। তাই চিনির বাজারে দীর্ঘস্থায়ী সংকটের আশঙ্কা নেই। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা চালুর সর্বাত্মক চেষ্টা করছে এস. আলম গ্রুপ। এছাড়াও চিনির আরও চালান আসছে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় এস. আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের একটি গুদামে গত ৪ মার্চ বিকেলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস, নৌ ও বিমানবাহিনীসহ প্রশাসনের সার্বিক প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোন হতাহতের ঘটেনি তবে আগুনে পুড়ে গেছে ১ লাখ টনের মতো অপরিশোধিত চিনি। আগুন উৎপত্তির কারণ জানা যায়নি। ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এটি নাশকতার ঘটনা কি না তাও খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে কল-কারখানা অধিদপ্তর।