ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বর্ণবাদ, আভিজাত্য এবং বিভিন্ন ধরণের বৈষম্যে আক্রান্ত। ইন্ডিপেনডেন্ট কমিটি ফর ইকুইটি ইন ক্রিকেটের (আইসিইসি) গতকাল প্রকাশ করা প্রতিবেদনে এমনটাই বলেছে। প্রতিবেদনটি পড়ে ‘মর্মাহত’ হয়েছেন দেশটির টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস।
বিষয়টি নিয়ে স্টোকস মুখ খুলেছেন অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের আগে। লর্ডসে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে আজ মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘খেলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের যারা অতীতে বাজে আচরণের জন্য নিজেদের অনাকাঙ্খিত কিংবা অগ্রহণযোগ্য মনে করতে বাধ্য হয়েছেন, তাদের সেসব অভিজ্ঞতার কথা শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। ক্রিকেট এমন একটি খেলা যেখানে সব ধরণের বৈচিত্র থাকতে হয়। তা না হলে খেলাটা এখন এই উচ্চতায় উঠে আসতে পারত না।’
‘এটি একটি খেলা, আমাদের অতীতের ভুল থেকে শিখতে হবে। মানুষকে নিরাপদ বোধ করতে এবং প্রতিটি স্তরে নিজেদের তৈরি করতে আমরা যা পারি তা করতে হবে। আমি ২০১১ সাল থেকে ইংল্যান্ডের একজন খেলোয়াড়। আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি। আমি অবিশ্বাস্যভাবে দলটির অংশ হতে পেরেছি।’
‘আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বৈচিত্র্যময় হতে হবে। কারণ, আমি যে খেলাটি ভালোবাসি, তা চাল-চলন, জাতি বা লিঙ্গ যা হোক না কেন, কেনো রকমের বৈষম্য ছাড়াই উপভোগ করা উচিত৷’
‘সবারই বলার মত আলাদা গল্প আছে। আমি বেন স্টোকস, নিউজিল্যান্ডে জন্মেছি। রাষ্ট্রীয় শিক্ষাব্যবস্থায় মাত্র ১৬ বছর বয়সেই শারীরিক শিক্ষায় (পিই) মাত্র একটি জিসিএসই পেয়ে স্কুল থেকে ঝরে পড়েছিলাম । কথা বলার জন্য আমাকে ব্যাকরণ শেখা ও উচ্চারণেও সাহায্য নিতে হয়েছে। কিন্তু সেই আমি এখন ইংল্যান্ডের ছেলেদের জাতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ক।’
‘এটা স্পষ্ট যে, খেলোয়াড় হিসাবে ক্রিকেটের জন্য় আরও অনেক কিছু করার আছে। আমরা সত্যিই এটির অংশ হতে চাই, যেন তা সর্বোপরি মানুষের জন্য হয়।’