চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
ব্রাউজিং
Channelionline.nagad-15.03.24

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি

উচ্চ শিক্ষায় বাংলার ব্যবহার কতোটুকু

উচ্চ শিক্ষার সব পর্যায়ে এখনো বাংলা ভাষার ব্যবহার শুরু হয়নি। যদিও সবস্তরে বাংলা ভাষা ব্যবহারের কথাই বলা হয়েছে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, নিজের মায়ের ভাষায় শিক্ষা চর্চার অভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা অসম্পূর্ণ থেকে যাচ্ছে।বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে:

একুশের প্রথম সঙ্কলনে পাতায় পাতায় ছিলো ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ

১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার দাবিতে মিছিলে সে সময়ের পূর্ব পাকিস্তান সরকারের গুলিবর্ষণ ক্ষুব্ধ করেছিল কবি সাহিত্যিক, শিল্পীসহ সর্বস্তরের মানুষকে।দু’বছরের মধ্যে ১৯৫৩ সালে প্রকাশ হওয়া একুশের প্রথম সঙ্কলনে পাতায় পাতায় ছিলো সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ আর অধিকার আদায়ে সোচ্ছার থাকার প্রেরণা।আরও বিস্তারিত দেখুন মাশরুর শাকিলের ভিডিও রিপোর্টে:

পরিকল্পনার অভাবেই বাংলা ভাষায় পরিভাষার ঘাটতি

চিকিৎসা বিজ্ঞান, আদালত ও উচ্চ-শিক্ষায় পরিভাষার ব্যবহার অপরিহার্য হলেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বলেছেন, বাংলায় সব পরিভাষা গ্রহণের প্রয়োজন নেই। কেবল জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এমন কিছুই গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে ভাষা গবেষকদের মতে বাংলা ভাষায় পরিভাষার ঘাটতি থাকার প্রধাণ কারণ রাষ্ট্রের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাব।আরও বিস্তারিত দেখুন জাকিয়া আক্তারের ভিডিও রিপোর্টে:

ভাষার মাস: বাংলা অভিধান কতটুকু সমৃদ্ধ

বাংলা ভাষাকে আরো গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলতে অভিধানে নিয়মিত নতুন শব্দ যুক্ত করা হয়, বলছে বাংলা একাডেমি।একাডেমির মহাপিরচালক বলেছেন, অভিধান নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণের মতামত প্রকাশ করার সুযোগ রয়েছে। আর ভাষাসংগ্রামী জাতীয় অধ্যাপক ডক্টর রফিকুল ইসলাম বলেছেন, আধুনিক বাংলা অভিধান হওয়ার পরও মানুষের মধ্যে আঞ্চলিক ভাষা মেশানোর প্রবণতা এখনও বেশি।১৮১৭ সালে বাংলা ভাষায় প্রথম অভিধান প্রণয়ন ও সংকলন করেন রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ। তার ঠিক শত বছর পর জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস ১৯১৭ সালে প্রায় ৭৫ হাজার শব্দের ‘বাংলা ভাষার অভিধান’ নামে…

ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় স্বাধীন বাংলাদেশ

শুরু হলো ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। সেসময়ের পাকিস্তানের সংবিধানে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিতে শাসকদের বাধ্য করে বাঙালি। এরই ধারাবাহিকতায় দানা বাঁধে স্বাধিকার-স্বাধীনতার চেতনা।স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সকল আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল ভাষা আন্দোলনের প্রেরণা আর সাহস। ভাষার মাসে তাই ৫২’র শহিদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বাঙালি।বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: 

ফ্যাশন হিসেবে ভাষাকে সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে বিকৃত করা হচ্ছে প্রমিত বাংলাকে

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলা ভাষার ব্যবহার অনেক বাড়লেও অনেক ক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে অযত্ন আর অবহেলায়।  বিশ্লেষকরা বলছেন, হালের ফ্যাশন হিসেবে ভাষাকে সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে প্রমিত বাংলাকে বিকৃত করা হচ্ছে।ভিনদেশি শব্দের একটু একটু আগ্রাসনে ব্যবহারিক ভাষা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক বাংলা শব্দ।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলা ভাষায় অদ্ভুত সব শব্দ ঢুকছে।  ফেসবুক ও ব্লগে মজার ছলে কথিত নতুন শব্দের ব্যবহারে দূষণ ঘটছে বাংলা ভাষায়।কেন এসব শব্দের ব্যবহার? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক বলছেন, অঞ্চলভিত্তিক বিভিন্ন…

নাটকে আঞ্চলিক ভাষা: আলোচনা-সমালোচনা-আত্মসমালোচনা

প্রমিত ভাষার মতো আঞ্চলিক ভাষারও সৌন্দর্য আছে। তবে কোনো অবস্থাতেই নাটকে আঞ্চলিক ভাষার নামে যেনো ভাষার বিকৃতি না হয় এমন পরামর্শ অভিনেতা-নাট্যকার এবং নির্মাতাদের।তারা বলছেন, চরিত্রের প্রয়োজনে নাটকে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার হবে, কিন্তু সেটা যেনো ভাঁড়ামো না হয়।একটা সময়ে বাংলা নাটক ছিল দেশের মানুষের মূল বিনোদন। আশির দশকে বিটিভিনির্ভর বাংলা নাটকে মানুষ নাটকের সাথে একাত্ম হয়ে নাটক দেখে হেসেছে, কেঁদেছে। পরের দিকে ‘প্যাকেজ নাটকের যুগে’ও জনপ্রিয় হয়েছে ইমপ্রেসসহ অন্যদের বাংলা নাটক।নাটকে স্বাভাবিকভাবেই আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার তখনো…

মোবাইল, ফেসবুক, ক্ষুদে বার্তায় উপেক্ষিত বাংলা

প্রযুক্তির উৎকর্ষের এই সময়ে মোবাইল ফোন কিংবা ফেসবুক মেসেঞ্জারের ক্ষুদে বার্তায় বাংলা ভাষা উপেক্ষিত হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ইংরেজি অথবা ইংরেজি হরফে বাংলা লিখছেন ব্যবহারকারীরা।প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, বাংলা ভাষা লেখায় দক্ষতা কম বলেই তারা এমন করছেন।মোবাইল ফোন বা ফেসবুক মেসেঞ্জারে ক্ষুদে বার্তা আদান-প্রদান এখন যোগাযোগের বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বিটিআরসির সর্বশেষ হিসাব বলছে, দেশে এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে ১৪ কোটি মানুষ। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আট কোটি।ফোন বা ফেসবুক বা মেসেঞ্জারে বাংলা লেখার সুবিধা থাকলেও ইংরেজি অক্ষরে…

সত্তর বছরেও শুদ্ধতা আসেনি ভাষার ব্যবহারে

যে জাতি-রাষ্ট্র মায়ের ভাষার দাবিতে বুকের রক্ত দিয়ে বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেছে, সত্তর বছরে সে দেশেই সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম শুদ্ধ করে বাংলায় লেখা নিশ্চিত করা যায়নি। ভাষাবিদ ও ভাষাসংগ্রামীরা বলছেন, এ দেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা বাংলা জাতীয় এবং জীবিকার ভাষা না হওয়ায় এ দুর্দশা।প্রচলিত এবং অর্থবোধক বাংলা শব্দ থাকার পরও সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম ইরেজি কিংবা বাংলা ইংরেজির মিশেলে। ‘পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- পিবিআই’, ‘সিনিয়র ফ্যাইন্যান্স কন্ট্রোলার- আর্মি’র মতো ইংরেজি নামের দৃষ্টান্ত অনেক। আবার ‘সিনিয়র অর্থ…

সেই শহীদ মিনার আজো প্রেরণার উৎস

বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন শুধু মাতৃভাষা বাংলার অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনই ছিলো না, ছিলো বাঙালির অনন্য জাতিশক্তির বোধের বিকাশেরও উন্মেষপর্ব। এর ভিত্তিতেই ছয় দফায় স্বাধীন বাংলাদেশের রূপরেখা। পরে ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ।১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের মাধ্যমে উপমহাদেশে দুশো বছরের ইংরেজ শাসনের সমাপ্তি। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই বোঝা গেল, পশ্চিম পাকিস্তান ভাষার প্রশ্নে পূর্ব পাকিস্তনকে সেই উপনিবেশিক শাসনেই রাখতে চাই।পরের বছর পাকিস্তান গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে…