চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
ব্রাউজিং
Channelionline.nagad-15.03.24

অসহযোগ থেকে মুক্তিযুদ্ধ

অসহযোগ থেকে মুক্তিযুদ্ধ

‘তথ্যের বিকৃতি রুখতেই ২৫ মার্চের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দরকার’

২৫ শে মার্চ। তারিখ অার এই শব্দটিই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে ১৯৭১ সালের পর থেকে। এই দিনে বাংলাদেশে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালায় হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী। তবে সেই ২৫শে মার্চের নারকীয়তা নিয়েও সন্দেহের বীজ আছে যেন অনেকের মনে। সেই নারকীয়তার পরে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে প্রাণ হারানো ৩০ লাখ শহীদের কথা যেন মানতে চান না অনেকেই। কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করেন এই সংখ্যাটি নিয়েও। সেই সন্দেহের অবকাশ না রাখতেই সংসদে ২৫ শে মার্চকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালনের প্রস্তাব দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের এমপি শিরিন আখতার।চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি শোনান সেই…

জীবনের ঝুঁকি নিয়েও বাঙালি নিধনের খবর বিশ্বকে জানিয়েছিলেন যে সাংবাদিকরা

হানাদার পাকবাহিনীর গণহত্যার খবর যাতে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে না পরে সেজন্য বিদেশি সাংবাদিকদের ২৫ মার্চ অভিযানের আগেই দেশত্যাগে বাধ্য করে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লুকিয়ে থাকেন তিন বিদেশি সাংবাদিক। এরা হচ্ছেন সাইমন ড্রিং, আর্নল্ড জেটলিন এবং লরেন্স লিফশুলজ। মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদারদের ষড়যন্ত্র ও গণহত্যার চিত্র আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তুলে ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থনের পথ প্রশস্ত করেছিলেন বাংলাদেশের এ তিন অকৃত্রিম বন্ধু।সাইমন ড্রিং বৃটিশ সংবাদপত্র ডেইলি টেলিগ্রাফের তৎকালীন এশীয় সংবাদদাতা…

আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা দিবস পালনে বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতা

আন্তর্জাতিকভাবে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর পাশাপাশি বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, অন্য দেশগুলোর পার্লামেন্টের সমর্থন পেতে তৎপরতা শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। চলছে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও প্রক্রিয়া শুরুর কাজ।একাত্তরের সাত মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর বাঙালি যখন স্বাধীনতার জন্য মরিয়া তখন কাপুরোষচিত আক্রমণ করেছিলো পাকিস্তানী বাহিনী। পঁচিশ মার্চের সেই রাত তাই কালরাত হিসেবে বিবেচিত বাংলাদেশের ইতিহাসে। এবার তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চায়…

নৃশংস, বর্বর হত্যাযজ্ঞের সেই কালরাত

২৫ মার্চ ১৯৭১। মধ্যরাত থেকে শুরু হয় বাঙ্গালি নিধনে ভয়াল এক গণহত্যা। ১৯৪৮ সালে একরাতে ৩০ হাজার মানুষ হত্যা করে যেভাবে বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলনকে দমন করেছিল পাকিস্তান সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় অপারেশন সার্চ লাইট নামে চালানো হয় গণহত্যা। ওই রাতেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের পর থেকে হানাদাররা বুঝতে পারে বাঙালিকে দমানো যাবে না। নীল নকশার অংশ হিসেবে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ইপিআরের বাঙ্গালি কর্মকর্তাদের গুরুত্বপুর্ণ জায়গা থেকে বদলি ও নিরস্ত্র করতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে…

মানিকগঞ্জের ট্র্যাজেডি: তেরশ্রী গণহত্যা

১৯৭১ সালের ২৫ নভেম্বর। মানিকগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক ট্রাজেডির দিন। একের পর এক যুদ্ধ জয়ে যখন স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে মানিকগঞ্জ, এমনি এক সময়ে রাতের আঁধারে গণহত্যা চালায় পাকিস্তানী হানাদাররা। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার তেরশ্রী গ্রামের নিরীহ ৪১ জন সাধারণ মানুষকে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদাররা।১৯৭১ সালে মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার তেরশ্রী গ্রামের  স্কুল মাঠে ছিল মুক্তিবাহিনীর প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। মুক্তিযোদ্ধা রিক্রটিং ও প্রশিক্ষণ চলতো এ মাঠেই। এ ছাড়াও একই গ্রামের এই মাঠে বাঙ্গালী ইপিআর সদস্যরা অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ…

প্রথম পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ২০ হাজার কবর সংরক্ষণ করবে সরকার

সরকার ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশাল ত্যাগের স্বীকৃতি হিসাবে সকল শহীদ ও সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী প্রধান মো. মোমিনুর রহমান বুধবার  বলেন, সরকার দেশের এ সকল সূর্য সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে  প্রথম পযার্য়ে ২০,০০০ শহীদ ও সাধারণ মুক্তিযোদ্ধার কবর সংরক্ষন করবে। এ জন্য ৩৪৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে।মোমিনুর রহমান আরও বলেন, সারাদেশে পর্যায়ক্রমে সকল মুক্তিযোদ্ধার কবর সংরক্ষন করা হবে। সরকার প্রথম পর্যায়ের পর দ্বিতীয়…

মানিকগঞ্জের গৌরবের ইতিহাস একাত্তরের গোলাইডাঙ্গা যুদ্ধ

একাত্তরে মানিকগঞ্জে দেশকাঁপানো যুদ্ধ হয় সিংগাইরের গোলাইডাঙ্গায়। ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা হানাদার পাকিস্তানী সৈন্যের নৌবহরে আক্রমন চালায়। সম্মুখ যুদ্ধে নিহত হয় ৮৩ জন পাকিস্তানী সৈন্য। অন্যরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।মানিকগঞ্জের সিংগাইরের নবগঙ্গা নদী কালের পরিক্রমায় এখন মৃতপ্রায়। ১৯৭১ সালের ২৮  অক্টোবর এই নদী দিয়ে নৌকায় মানিকগঞ্জ শহরের দিকে যাচ্ছিলো পাকিস্তানী সৈন্যরা। এ খবর পেয়ে নবগঙ্গা নদীর দুই পাড়ে ২৪ টি বাঙ্কারে অবস্থান নেয় ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা।পাকিস্তানী সৈন্যদের নৌকার বহর বাঙ্কারের কাছাকাছি এলে একযোগে ২৪ টি বাঙ্কার থেকে…

স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও হয়নি ভাওয়ালিয়া স্মৃতিসৌধ

১৯৭১ সালের ২৫জুন পাকিস্তানী হানাদারদের সঙ্গে একটানা ৪৮ ঘন্টার যুদ্ধ হয় ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভাওয়ালিয়া বাজুতে। সেই যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত হয় ১শত ৯৫ জন পাকিস্তানি সেনা। আর হানাদারদের হাতে শহীদ হয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান। আহত হয় ৪ মুক্তিযোদ্ধাসহ এলকার অনেক নারী-পুরুষ।কিন্তু স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও স্থানটি সংরক্ষণে স্মৃতিচিহ্ন নির্মাণ করা হয়নি। তাই ভাওয়ালিয়া বাজুতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকাবাসীর।ভালুকার ভাওয়ালিয়া বাজুর এ সফল যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ১১নং সেক্টরের সাব সেক্টর…

মুক্তিযুদ্ধের ৩৬০টি স্থান সংরক্ষণ করবে সরকার

সরকার ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের  গৌরবময় ইতিহাস ও বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে জানাতে মুক্তিযুদ্ধের ৩৬০টি ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ করবে।এ জন্য ১৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী প্রধান কর্মকর্তা মো. মোমিনুর রহমান বলেন, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে  ১৯৭১ সালের ৩৬০টি ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষে ১৮২ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত একটা প্রকল্পও গ্রহণ করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, সরকার ৩৬০টি ঐতিহাসিক স্থানের প্রতিটিতে একটি করে…

বিড়ালদহ এলাকার বাড়ির দেয়ালে এখনও গুলির চিহ্ন

পুঠিয়ার বিড়ালদহ বাজারের লোহার ব্রিজের যুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে রাজশাহীর সবচেয়ে বড় গেরিলা যুদ্ধ। রাজশাহীতে প্রবেশের আগে কমপক্ষে ২ হাজার পাকিস্তানি সৈন্যকে প্রতিহত করে মাত্র ২’শ গেরিলা যোদ্ধা। ৮ ঘন্টা সম্মুখ যুদ্ধের পর পিছু হাটতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি হানাদাররা। মারা যায় ৬শ’রও বেশি পাকিস্তানি সৈন্য।একাত্তরের ১৪ এপ্রিল নগরবাড়ি ঘাট হয়ে পাকিস্তানী সৈন্য নিয়ে ২ থেকে ৩‘শ টি ট্রাক রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা হয় । এ খবর শোনার পর ওই এলাকার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বে ২শ মুক্তিযোদ্ধা প্রতিরোধের পরিকল্পনা করেন।…