চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরায় আগুন লাগার ১২ ঘণ্টা পরও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় ফায়ার ইউনিটদের সাথে সাথে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ফাইটিং টিম আগুন নেভাতে দুর্ঘটনা স্থলে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী ও নৌ বাহিনীর ৬টি ইউনিট কাজ শুরু করেছে।
আজ শনিবার (১১ই মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার কারণ জানতে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ‘আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান’ গঠিত তুলার গোডাউনের অগ্নি দুর্ঘটনা তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন: বদিউল আলম, উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার,চট্টগ্রাম ( আহ্বায়ক), পুলিশ সুপার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সুপার চট্টগ্রাম এর প্রতিনিধি, প্রতিনিধি-ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ডি.আই.জি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীতাকুণ্ড, ওসি সীতাকুণ্ড, প্রতিনিধি বিটিএমসি, প্রতিনিধি বিস্ফোরক পরিদপ্তর এবং প্রতিনিধি বিটিএমইএ।
তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে সেনা-নৌ-বিমানবাহিনীর সাথে বিজিবির ৪টি ফায়ার ফাইটিং ইউনিট ও সম্প্রতি তুরস্কের ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকার্যে অংশ নেয়া সেনাবাহিনীর বিশেষ উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
এর আগে সকালে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সীতাকুণ্ড, কুমিরা, আগ্রাবাদ এবং বায়েজিদ স্টেশন থেকে প্রথমে ৫টি গাড়ি গিয়ে আগুন নেভাতে শুরু করে। কিন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় দুপুর থেকে ৮টি এবং সর্বশেষ আরও ৯টি গাড়ি গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে
উল্লেখ্য, ইউনিটেক্সের ফ্যাক্টরিতে ২,৭০০ টন তুলা মজুদ ছিল। এ দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন নেভানো করা দুরুহ হয়ে দাঁড়িয়েছে।