বাড়ি ও দোকান ভাড়ার টাকা চাওয়ায় ভাবীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতর স্বজনরা। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় হিরন ইউনিয়নের হিরন গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার ৩১ জানুয়ারি রাতে ঘটা এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোটালীপাড়া থানার ওসি ফিরোজ আলম। নিহত ফারজানা বেগম (২৫) ওই গ্রামের মৃত মিন্টু মোল্লার স্ত্রী এবং গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ঘোষেরচর উত্তরপাড়া গ্রামের হেকমত শেখের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ওসি ফিরোজ আলম জানিয়েছেন, প্রায় দেড় বছর আগে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে নিহত ফারজানা বেগমের স্বামী জাহিদ মোল্লার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময় রেখে যাওয়া ৩ সন্তানকে নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছিলেন ফারজানা। স্বামী মারা যাওয়ার পর বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে পাওয়া সামান্য টাকা দিয়ে চলতো ফারজানার সংসার। দোকান ও বাড়ি ভাড়ার যে টাকা পেতেন তার থেকে অর্ধেক টাকা দেবর খালিদ মোল্লাকে দিতেন ফারজানার শাশুড়ি স্বরুপজান বেগম। গত মাসে বাড়ি ও দোকান ভাড়ার টাকা তুলে শাশুড়ি স্বরুপজান পুরো টাকাটা তার ছোট ছেলে খালিদ মোল্লাকে দিয়ে দেন। এতে ৩ সন্তানকে নিয়ে সমস্যায় পড়ে ফারজানা।
বিষয়টি জানতে চাইলে শাশুড়ি তার ছেলে খালিদকে জানায়। খালিদ মোল্লা বাড়ি ফিরে এই বিষয় নিয়ে ভাবী ফারজানার সাথে উল্টাপাল্টা কথা বলে এবং এক পর্যায়ে খালিদ মোল্লা ফারজানা বেগমকে লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধড়ক মারপিট করে।
ফারজানার বড় মেয়ে ফারিয়ার চিৎকারে পাশের বাড়ির লোকজন ছুটে গিয়ে ফারজানাকে উদ্ধার করে প্রথমে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসক ফারজানাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে খালিদ মোল্লা পলাতক রয়েছে।