অভিনেতা হিসেবে লম্বা ক্যারিয়ার শাহরিয়ার নাজিম জয়ের। শূন্যদশক পরবর্তী তিনি ছিলেন নাটকের প্রথমসারীর অভিনেতাদের একজন। পরে শাবনূরের সঙ্গে সিনেমা করেন। অভিনয়ের সঙ্গে নির্মাতা হিসেবে পরিচিতি পেলেও সবকিছু ছাপিয়ে উপস্থাপক হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন জয়।
গত পাঁচবছরে নানা ধরনের টিভি শো করে এবং উপস্থাপনা দিয়ে ব্যাপক আলোচিত হয়েছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়। এতে করে তার অভিনয় যাত্রায় ভাটা। তবে গত দুই বছরে আবার অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে ‘সেন্স অব হিউমার’ খ্যাত এই উপস্থাপককে।
গেল বছর রায়হান রাফীর ‘৭ নাম্বার ফ্লোর’ ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করে আলোচনা তৈরি করেন শাহরিয়ার নাজিম জয়। কাজটি দেখে দর্শকরা বলেছিলেন, জয়ের এই কামব্যাক ছিল দুর্দান্ত! নতুন করে শঙ্খ দাশ গুপ্তের পরিচালনায় ‘গুটি’ নামে আরেক ওয়েব কনটেন্টে অভিনয় করলেন তিনি।
৬ জানুয়ারি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি অ্যাপে মুক্তি পাবে ‘গুটি’। সেখানে সেলিম চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়। মাদক চোরাচালানের লোমহর্ষক ঘটনাকে কেদ্র করে নির্মিত এই ওয়েব কনটেন্টে আরও অভিনয় করেন আজমেরী বাঁধন, মৌসুমি হামিদ, নাসির উদ্দিন খান প্রমুখ।
ট্রেলারের পর সম্প্রতি জয়ের উপস্থিতিতে ‘গুটি’র টিজার উন্মুক্ত হয়েছে। টিজার দেখে অনেক দর্শক বলছেন, বছরের শুরুতে ‘গুটি’ দিয়ে অভিনেতা হিসেবে আলোচনায় আসতে পারেন শাহরিয়ার নাজিম জয়।
জয়ের মন্তব্য, গুটি একেবারে রিয়েলিস্টিক কাজ। গল্পের ভিতরের গভীর কিছু বিষয় উঠে আসবে। এই চরিত্র করতে অভিনেতা হিসেবে আমাকে অনেক বেশী অ্যাফোর্ড দিতে হয়েছে। অভিনেতা হিসেবে অনেক বড় পরীক্ষা দিতে হয়েছে। সেটার নম্বর দেবেন দর্শক। পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষা করছি।
চরিত্রটি নিয়ে খোলাসা না করলেও কৌশলে জয় বললেন, যে চরিত্র করলাম সেই মাপের অভিনেতা আমি কিনা সেটা দর্শকরা তাদের মন্তব্যে জানাবেন। আমি সেই রায় পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। তবে গল্প এবং নির্মাণশলী অনেক বাস্তবধর্মী হয়েছে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংসে আমি এতো দুর্দান্ত চরিত্রে পারফর্ম করতে পেরেছি এতে আমি হ্যাপি। কারণ এই ধরনের কঠিন চরিত্রে এখন চঞ্চল চৌধুরী, মোশাররফ করিমকে দেখে অভ্যস্ত দর্শক।
নির্মাতারা নতুন নতুন ওয়েব ভিত্তিক কাজে সিরিয়াস সব চরিত্রে জয়কে নিয়ে ভাবছেন, বিষয়টি ‘জীবনের গল্প’ খ্যাত এ অভিনেতার জন্য সৌভাগ্যের বলে মনে করেন তিনি।
অভিনয়ে নিয়মিত হওয়া প্রসঙ্গে জয় বলেন, আমার শুরুটা অভিনেতা হিসেবে। এটি আমার প্রথম পরিচিতি এনে দেয়। আমি মনে করি, অভিনয় একটি নেশা। ধীরে ধীরে আমি আবার অভিনয়ের সেই নেশায় আসক্ত হচ্ছি। এখন যে কাজগুলো করছি সেখানে নিজেকে ভাঙছি, খুব বুঝেশুনে করছি।