ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজে চার ম্যাচে চার হার নিয়ে বিশ্বকাপ অভিমুখ হচ্ছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠের টুর্নামেন্টটিতে রানার্সআপ হয়ে তাসমানপাড়ের প্রতিবেশী দেশে পা রাখছে নিউজিল্যান্ড। সেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়ে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে পাকিস্তান।
একই টুর্নামেন্ট থেকে দল তিনটি শেষমুহূর্তে ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন যাচ্ছে, তবে তিন অধিনায়কের ভাবনায়ই একটি জায়গায় থাকছে বিশেষ মিল। বিশ্বকাপের লাগোয়া আয়োজন থেকে সাকিব-বাবর-উইলিয়ামসন প্রত্যেকে খুঁজে নিচ্ছেন ইতিবাচক রসদ।
২০ ওভারের ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে খারাপ করছে টাইগাররা। ওপেনিংয়ে টানা ব্যর্থতা, পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে না পারা, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বোলারদের ছন্দহীন হয়ে পড়া, দৃষ্টিকটু ফিল্ডিং, এসব যেন নিত্য ঘটনা। টিম কম্বিনেশন ঠিক করতেই ঘাম ছুটে যাচ্ছে।
বিশ্বমঞ্চে লড়াইয়ে নামার আগে ১৫ জনের স্কোয়াড আগেই চূড়ান্ত হলেও বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে আসছে পরিবর্তন। কোন কোন পজিশনে পরিবর্তন আসবে সেটি সম্পর্কে অবশ্য আগাম ধারণা দেননি।
এমন নাজুক অবস্থার মাঝেও আশারবাণী শুনিয়েছেন লাল-সবুজদের অধিনায়ক সাকিব। বিশ্বকাপের টিম কম্বিনেশন খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেছেন, ‘ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের মাধ্যমে আমরা অনেক উন্নতি করেছি। এটি আমাদের জন্য কিছুটা ইতিবাচক। আসন্ন বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করাটা এখন আমাদের হাতে।’
ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের পরও বিশ্বকাপের আগে একইরকম ইতিবাচকতার কথা বললেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। বিশেষভাবে ব্যাটারদের পারফরম্যান্সে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, ‘ব্যাটসম্যানদের রানে থাকা এবং উন্নতির সব লক্ষণ বিশ্বকাপের আগে ইতিবাচক।’
ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টটির চ্যাম্পিয়ন দল পাকিস্তান। লিগপর্বে হেরেছিল কেবল একটি ম্যাচ। বিশ্বকাপে গতবারের সেমিফাইনালিস্টরা এবারও ভালো কিছু করে দেখানোর জন্য ইতিবাচক মানসিকতায় রয়েছে। শিরোপা উঁচিয়ে ধরে অধিনায়ক বাবরের কথায়ও স্পষ্টত এলো সেই ইতিবাচক চিন্তাই, ‘অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার আগে আমাদের ভালো আত্মবিশ্বাস মিলল।’