অবৈধ বালু উত্তোলন, উচ্ছেদ অভিযান, খাস জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকেন একজন নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)। যিনি কোনো ধরনের অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেন না। ফলে সবসময় তাকে এলাকার প্রভাবশালীদের অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়তে হয়।
এমনই এক চ্যালেঞ্জিং ও অসঙ্গতির গল্প উঠে আসছে অনন্য ইমন পরিচালিত ‘আপোষহীনা’ নামের নাটকে। নাটকটির গল্প চিত্রনাট্য করেন মেজবাহ উদ্দিন সুমন। সম্প্রতি রাজধানীর পার্শ্ববর্তী ধামরাইয়ে শুটিং শেষ হওয়া এ নাটকে ইউএনও’র চরিত্রে অভিনয় করেন অভিনেত্রী সাবিলা নূর।
১৯৫২ এন্টারটেইনমেন্ট-এর ব্যানারে নির্মিত ‘আপোষহীনা’ ঈদে চ্যানেল আই-এর পর্দায় প্রচার হবে। শুটিং শেষে গল্পের ধারণা দিতে গিয়ে নির্মাতা অনন্য ইমন জানান, স্থানীয় এক ঠিকাদার স্কুল নির্মাণ করতে গিয়ে প্রয়োজনীয় নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না করে রডের বদলে বাঁশ দেন! ইউএনও জানতে পেরে কাজ বন্ধ করেন। এতে করে ওই প্রভাবশালী ঠিকাদারের সঙ্গে তুমুলভাবে দ্বন্দ্বে জড়ান, ইউএনও-কে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকেন।
এর মধ্যে ঘটে আরও বিভিন্ন ঘটনা, কিন্তু গল্পের শেষটা একেবারে অন্যরকম। বাকিটা জানতে ‘আপোষহীনা’ নাটকটি দেখতে বললেন নির্মাতা অনন্য ইমন। তিনি বলেন, ট্রলারে বালু উত্তোলন, পিলারে বাঁশ ঢুকানোর দৃশ্যটি সত্যি যেভাবে করে সেভাবে করেছি। স্কুলের একটি দৃশ্যে প্রায় হাজারও শিক্ষার্থীদের জড়ো করে শুটিং করেছি। এ গল্পটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। তাই স্ক্রিনে রিয়েলিটি রাখতে আয়োজনে কোনো কমতি রাখিনি।
সাবিলা নূর বলেন, আমি বেছে বেছে সামাজিক বার্তা থাকে এমন কাজগুলো বেশী করছি। সেদিক থেকে ‘আপোষহীনা’ খুবই স্পেশাল। তাছাড়া সংবাদ মাধ্যমের বরাতে আমরা এমন ঘটনা প্রায়ই জানতে পারি। আমি মনে করি, নাটকটি দেখে দর্শক অসঙ্গতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার প্রেরণা পাবেন।
‘আপোষহীনা’ নাটকে অন্যান্য চরিত্রে আরও অভিনয় করেন ইয়াশ রোহান, চাষী আলম, মাসুম বাশার, জিয়াউল হাসান কিসলু, আনোয়ার প্রমুখ।