জন্মদিন উদযাপনের সময় নৈশ ক্লাবে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে সাবেক ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার রবিনহোকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল ইতালির আদালত। এই সাজা তিনি ব্রাজিলে খাটবেন কিনা, এ বিষয়ে দেশটির আদালত আজ বুধবার রায় দেবেন।
মিলানের একটি নৈশ ক্লাবে ২০১৩ সালে আলবেনিয়ান এক যুবতীকে রবিনহোসহ ছয়জন সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। সাবেক এ ফুটবলার তখন এসি মিলানের হয়ে খেলছিলেন।
২০১৭ সালে রবিনহোকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইতালির আদালত। এই সাজা অনুমোদন করে ২০২২ সালে ব্রাজিল সরকারকে তা কার্যকরের অনুরোধ জানিয়েছিল ইতালি।
ব্রাজিলের একটি টিভি চ্যানেলকে গত রোববার ম্যানচেস্টার সিটি এবং রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক স্ট্রাইকার সাক্ষাৎকার দেন। এতে তিনি বলেন, ‘আশা করি ব্রাজিলে আমি সেভাবে কথা বলতে পারব, যেটা সেখানে (ইতালি) বলতে পারিনি।’
ইতালির বিচার ব্যবস্থাকে ‘বর্ণবাদী’ অভিযুক্ত করে তার ভাষ্য, ‘ঘটনাটা সম্মতির ভিত্তিতে হয়েছিল। আমি কখনই বিষয়টা অস্বীকার করিনি। এটা অস্বীকার করতে পারতাম। কারণ আমার ডিএনএ পাওয়া যায়নি। কিন্তু আমি মিথ্যাবাদী নই।’
যদি রায় ৪০ বর্ষী সাবেক খেলোয়াড়ের বিপক্ষে যায়, সেক্ষেত্রে তিনি ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টে আপিলের পর এখনও মুক্ত থাকতে পারবেন। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বলেছেন, তিনি আশা করেন রবিনহো ব্রাজিলের মাটিতে সাজা ‘কাটাতে’ পারেন। ব্রাজিলের গণমাধ্যমের মতে, ম্যাজিস্ট্রেটরা ইতালির অনুরোধ অনুমোদন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
রবিনহোর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এটিই প্রথম নয়। ইংল্যান্ডে ২০০৯ সালে এক তরুণীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে তিনি আটক হন। তভে তদন্তের পর মুক্তি পান।
ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলে যে বিখ্যাত ক্লাবে খেলেছিলেন, সেই সান্তোসে ক্যারিয়ার শুরু করেন রবিনহো। তাকে রোনাল্ডো নাজারিও, রিভালদো এবং রোনালদিনহোর সোনালী প্রজন্মের উত্তরসূরি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ২০০৫ সালে তিনি সান্তোস ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে রোনালদো এবং ডেভিড বেকহ্যামের সঙ্গে যোগ দেন। ওই সময় স্প্যানিশ জায়ান্টদের কোচ ছিলেন জিনেদিন জিদান। ব্রাজিলের জার্সিতে ২০০৫ ও ২০০৯ সালে কনফেডারেশন কাপ এবং ২০০৭ সালে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছিলেন।
২০২০ সালে সান্তোসে ফিরে আসলেও ভক্ত, স্পন্সর এবং গণমাধ্যমের চাপের পরে ক্লাবটি চুক্তি বাতিল করে। যার ফলে তার ক্যারিয়ারের আকস্মিক সমাপ্তি ঘটে।