আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রচারণায় দেখা যায় চিত্রনায়ক রিয়াজকে। পরপর দু’বার তিনি দলটির নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। অনেকেই মনে করেছিলেন, রিয়াজ হয়তো জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবেন। কিন্তু তা করেননি। বরং তিনি সহকর্মী ফেরদৌসকে সমর্থন দিয়েছেন!
রিয়াজ বরাবরই নিজেকে মুজিব আদর্শ লালন করা একজন সৈনিক বলে মনে করেন। তিনি বলেন, আমি যে আদর্শে বিশ্বাস করি যেখানে মনোনয়ন প্রাপ্তিটা মুখ্য নয়। আমি এখনো সংসদে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি না। যদি কখনো প্রয়োজন বলে মনে করি তখন হয়তো দেখা যাবে। এর আগে নয়। এটা আসলে সময় বলে দেবে। তবে আমি আমার আদর্শের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এই আদর্শের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত আছি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌস। ভোটের দিন বিকেলে ধানমন্ডির ৪/এ ফেরদৌসের দলীয় অফিসে এসেছিলেন রিয়াজ। তার সঙ্গে ছিলেন নায়িকা নিপুন। মূলত তারা ফেরদৌস ও ভোটারদের উৎসাহ দিতেই হাজির হয়েছিলেন।
তার আগে সকালেই স্ত্রীসহ বনানীতে গিয়ে ভোট প্রদান করে রিয়াজ। তিনি বলেন, ফেরদৌস আমার মামা। সে পাশ করলে যেমন ‘ঢাকা ১০’ আসনের জন্য কাজ করবে তেমনি সিনেমার মানুষের জন্যেও কাজ করবে। আমি সাড়ে নয়টার সময় রাজধানীর বনানী বিদ্যা নিকেতনে ভোট দিয়েছি।
‘আমি খুব সকালে ভোট দিতে গিয়েছিলাম। তখন কেন্দ্রে মানুষ আসা শুরু করছিল। প্রত্যেককে দেখেছি বিপুল উৎসাহ নিয়ে ভোট দিতে এসেছেন। আমি আমার ভোট দেওয়ার পর আমাদের প্রিয় সহকর্মী নায়ক ফেরদৌসের নির্বাচনী এলাকায় এসেছি।’
ফেরদৌস সিনেমার মানুষ, তিনি জয়ী হলে তার কাছ থেকে কী আশা করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে রিয়াজ বলেন, ‘সিনেমার মানুষের জয় মানে, আমাদের সবার জয়। সিনেমার মানুষ নির্বাচিত হলে সিনেমার উপকার অবশ্যই হবে। এর আগে আমাদের ফারুক ভাই (প্রয়াত চিত্রনায়ক) নির্বাচিত হয়েছেন। এবার নির্বাচনে এসেছেন ফেরদৌস। আশা করছি তিনিও জয়ী হবেন। সিনেমার মানুষের এই ধারাবাহিকতা থাকবে।’
রিয়াজ বলেন, তার (ফেরদৌস) কাছে প্রত্যাশা অনেক। তিনি যে এলাকায় নির্বাচন করছেন, জয়ী হয়ে সে এলাকার মানুষের পাশে থাকবেন। তেমনি চলচ্চিত্রের যে জগৎটা তাকে ফেরদৌস বানিয়েছে, সেসব মানুষের পাশেও থাকবেন। তিনি নির্বাচিত হলে আগামী ৫ বছর সবার জন্য কাজ করবেন।