টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মামুনুর রশীদের সমর্থকদের ওপর গুলির ঘটনায় সরাসরি জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন—ফারুক হোসেন ও কামরুল। র্যাব বলছে, এই দুজনকে গতকাল সোমবার রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহারের তথ্য ও প্রতক্ষদর্শীদের মাধ্যমে জানা যায় যে, গত রোববার রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের যুগনী গ্রামে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মামুনুর রশীদের সমর্থকদের ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এতে বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, কর্মী এমদাদুল হক ও সিয়াম গুলিবিদ্ধ হন। তাদের প্রথমে টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গুলির ঘটনায় গতকাল বিকেলে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা (নং-২৫) হয়। মামলার বাদী গুলিতে আহত রোকনুজ্জামানের বাবা ফজলুল রহমান। মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি ২০ থেকে ২৫ জন। আসামিরা সবাই আসনটির স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) ও বর্তমান সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেনের সমর্থক।
গুলির ঘটনার পর আবদুর রাজ্জাক ও আকাল মিয়া ওরফে আকালু নামের দুজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, রোকন, এমদাদ, সিয়ামসহ ৪-৫ জন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষে বাড়ী ফেরার পথে আনুমানিক রাত ১১ ঘটিকায় টাঙ্গাইলের কাঠুয়া যোগনী এলাকায় পৌঁছালে গ্রেপ্তার ফারুক হোসেন ও কামরুলের নেতৃত্বে বেশকয়েক জন সন্ত্রাসী পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমদের উপর অতর্কিতভাবে এলোপাতাড়ি গুলি করে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এ সময় ভিকটিম রোকন, এমদাদ ও সিয়াম এর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়। ভিকটিমদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে গ্রেপ্তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
কমান্ডার আল মঈন বলেন: গ্রেপ্তার দুজন এই ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। পূর্ববিরোধ, অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর ফারুক ও কামরুল পালিয়ে রাজধানীর উত্তরায় এসে আত্মগোপন করেন।
তিনি আরও বলেন, ফারুক আগে অস্ত্রসংক্রান্ত মামলায় ও তার সহযোগী কামরুল নারী নির্যাতন সংক্রান্ত মামলায় কারাভোগ করেছেন।