গোড়ালির চোটে গ্রুপপর্বে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে না পারবেন না নেইমার। বিষয়টিকে নিজের ‘ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তগুলোর ভেতর একটি’ হিসেবে উল্লেখ করছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
বিষণ্ণ হৃদয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দেয়া পোস্টে ভক্তদের উদ্দেশে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন ৩০ বর্ষী ফুটবলার।
‘ব্রাজিলের শার্টটি পরে আমি যে গর্ব এবং ভালোবাসা অনুভব করি তা ব্যাখ্যাতীত। ঈশ্বর যদি আমাকে জন্ম নেয়ার জন্য একটি দেশ বেছে নেয়ার সুযোগ দেন, তবে সেটা হবে ব্রাজিল।’
‘আমার জীবনে কিছুই এমনি এমনি আসেনি কিংবা কোনোকিছুই সহজ ছিল না। সবসময় আমার স্বপ্ন এবং লক্ষ্যগুলো অর্জনে তাদের পেছনে তাড়া করতে হয়েছে। কখনও কারো ক্ষতি কামনা করি না, বরং যাদের সাহায্য প্রয়োজন আছে তাদের সেটা করি।’
২০১৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার এক খেলোয়াড় নেইমারকে ইচ্ছাকৃতভাবে মারাত্মক ফাউল করেছিলেন। এতে সেমিফাইনালের আগেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যান ব্রাজিলিয়ান ওয়ান্ডার বয়। আট বছর পর আবারো বিশ্বকাপে এসে ইনজুরিতে পড়াটা যেন মেনে নেয়াটাই নেইমারের পক্ষে কঠিন হয়ে উঠেছে। যদিও আবার মাঠে ফেরার দৃঢ় সংকল্পটাও তিনি করে রাখলেন।
‘বর্তমানে আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি পার করছি। আবারও বিশ্বকাপেই এমনটি ঘটেছে। আমার ইনজুরি আছে, এটা বিরক্তিকর। বিষয়টা বারবার আমাকে আঘাত করে চলেছে। তবে আমি নিশ্চিত, ফিরে আসার সুযোগ পাবো। কারণ আমি আমার দেশ, আমার সঙ্গীদের এবং নিজেকে সাহায্য করার যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।’
সার্বিয়ার বিপক্ষে গ্রুপপর্বের ম্যাচের ৭৮ মিনিটে ঘটে মহাবিপদ! সার্বিয়ান ডিফেন্ডার নিকোলা মিলেনকোভিচের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান ওয়ান্ডার বয়ের পা মচকে যায়। বিষন্ন মুখে মাঠের বাইরে চলে যেতে বাধ্য হন নেইমার। বেঞ্চে বসে থাকা অবস্থায় মেডিকেল কর্মীরা যখন তার গোড়ালির চিকিৎসা করছিলেন, তখন জার্সি দিয়ে হতাশায় মুখ লুকাচ্ছিলেন তিনি।
পুরোপুরি সেরে না উঠলে ক্যামেরুনের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ খেলাতেও নেইমারকে মাঠে দেখা যাবে না। সেক্ষেত্রে সেলেসাওরা নকআউট পর্বে উঠলেই তিনি চলতি বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন।