কয়েক মাস আগে কাইলিয়ান এমবাপে বলেছিলেন, ফুটবলে লাতিনদের চেয়ে ইউরোপিয়ানদের দাপট বেশি। কারণ হিসেবে বিশ্বকাপজয়ী স্ট্রাইকার শুনিয়েছেন শেষ কয়েক বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দেশের কথা। সেখানেই বাগড়া দিয়েছেন চিলির মিডফিল্ড তারকা আর্তুরো ভিদাল।
রোববার লুসেইল স্টেডিয়ামে স্নায়ুচাপী ফাইনাল টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে দেন মেসি-মার্টিনেজরা। লাতিন দেশের হাতে বিশ্বকাপ ওঠার পর এমবাপের সেই কথা টেনে এনেছেন ভিদাল। বাঁকা ভাষায় লাতিনদের থেকে ফুটবল শিখতে বলেছেন ইউরোপিয়ান এমবাপেদের।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৩৫ বর্ষী মিডফিল্ড তারকা বলেছেন, ‘লাতিনদের কাছ থেকে ফুটবলটা শেখো, ওটা আবিষ্কারই করেছেন তারা।’ কাতার বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে পরামর্শ দেওয়া ভিদাল বর্তমানে খেলছেন ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোতে। ফুটবল ক্যারিয়ারে ইউরোপের বিভিন্ন ক্লাবেও খেলেছিলেন তিনি।
ইউএস-এর সকার নাকি ইউরোপের ফুটবল এটা নিয়ে যেমন তর্ক-বিতর্ক জমে। ঠিক তেমনি ইউরোপের ফুটবল নাকি লাতিন ফুটবল এগিয়ে, সেটিও বাড়ায় আলোচনা। আমেরিকানরা মনে করেন ফুটবলকে তারা অনিন্দ্যসুন্দর করেছে। কিন্তু ইউরোপীয়ানদের মতে, ফুটবলে জৌলুশ হারিয়েছে লাতিনরা। নিজেদের এগিয়ে রেখে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মত দলগুলোর খেলা তুলনা করছে আদি ফুটবলের সঙ্গে।

কাইলিয়ান এমবাপে ইউরোপিয়ানদের দলে। তিনিও মনে করেন লাতিনদের থেকে ইউরোপ ফুটবলে এগিয়ে। কাতার বিশ্বকাপের কয়েক মাস আগে ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপ জেতার মত উঁচুস্তরের ফুটবল আর্জেন্টিনা বা ব্রাজিল খেলে না। ইউরোপের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ততটা এগোতে পারেনি তাদের ফুটবল। তাই শেষ বিশ্বকাপগুলোয় দেখলেই প্রমাণ পাবেন।’
এমবাপের কথাগুলো প্রকাশিত হওয়ার পর লাতিন ফুটবলে বেশ সমালোচনা হয়। তার বক্তব্য নিতে পারেননি লাতিন দেশগুলোর সাবেক-বর্তমান ফুটবলার হয়ে বোদ্ধারা। বিশ্বকাপে ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হারার পর সে নিয়ে আবারও খোঁচা শুনতে হলো এমবাপেকে।