চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় শেষে আর্জেন্টিনা ৩-৩ ফ্রান্স

ইতিহাসের একধাপ দূরে দাঁড়িয়ে লিওনেল মেসি। লুসেইল স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে প্রথমার্ধেই কাজটা অনেকখানি এগিয়ে রেখেছিল লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। পেনাল্টি থেকে মেসির পর লিড বাড়ানো গোল করেছেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। ২-০ গোলের লিড রেখে বিরতিতে যায় আলবিসেলেস্তে দল।

বিরতি কাটিয়ে ফিরে বিপত্তি। এমবাপের জোড়া গোলে নির্ধারিত সময় শেষে স্কোর হয় ২-২। ম্যাচ যায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে মেসি ও এমবাপের গোলে হয় ৩-৩। খেলা এখন টাইব্রেকারে।

এমবাপের জোড়া গোলে দৃশ্যপট পুরোপুরি বদলে যায়। রান্ডাল কোলো মুয়ানিকে ডি বক্সের ভেতর ফাউল করেন নিকোলাস ওটামেন্ডি। ৮০ মিনিটে স্পট কিক থেকে গোল করে ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার ব্যবধান কমান।

মাত্র ৯৭ সেকেন্ড পর মাঝ মাঠ থেকে কিংসলে কোম্যানের বাড়ানো বল নেন মার্কাস থুরাম। তিনি বল এমবাপেকে বাড়ান। ডান পায়ের শটে ২৩ বর্ষী ফুটবলারের শট এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ঠেকানোর চেষ্টা করলেও তার আঙুলে লেগে জালে জড়ায়। মেসিকে ছাড়িয়ে এবারের বিশ্বকাপে সর্বাধিক ৭ গোলও করে ফেলেন।

রোববার শুরু থেকেই আক্রমণ চালায় আলবিসেলেস্তে দল। ৫৯ শতাংশ বল দখল নিয়ে তৈরি করে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ। ২১ মিনিটে ডি মারিয়াকে উসমানে ডেম্বেলে পেছন থেকে ফাউল করে বসলে নির্ভুল পেনাল্টি শটে দলকে এগিয়ে নেন মেসি। ৩৬ মিনিটে ম্যাক অ্যালিস্টারের দুর্দান্ত পাস থেকে ব্যবধান বাড়ান সেমিতে বেঞ্চে বসে থাকা ডি মারিয়া।

শিরোপার মঞ্চে তৃতীয় মিনিটেই সুযোগ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। রদ্রিগো ডে পল বল নিয়ে জুলিয়ান আলভারেজের দিকে বাড়ান, তবে শট নেয়ার আগে বল যায় লরিসের হাতে। মিনিট দুয়েক পর আলভারেজের থেকে বল নিয়ে দূরপাল্লার শট নেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। আট মিনিটে বল ফাঁকায় পেয়েও আকাশে উড়িয়ে দেন ডি মারিয়া।

লিওনেল স্কালোনির একাদশে ফিরে বাম উইং ধরে আক্রমণ চালান ডি মারিয়া। চোট ও ফর্মেশনের কারণে খেলতে না পারার শঙ্কায় থাকা ‘ফাইনালম্যান’ ব্যবধান গড়ে দেন। ২১ মিনিটের মাথায় বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে গেলে পেছন থেকে পা বাড়িয়ে দেন ডেম্বেলে, ফাউলের বাঁশি বাজান রেফারি। মেসিও দলকে এগিয়ে নেন।

প্রথমার্ধে চাপে থাকা এমবাপেরা ২০ মিনিটের মাথায় প্রথম সুযোগ তৈরি করে। জিরুদের হেড যায় জালের অনেকখানি উপর দিয়ে। ১১ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর কনুইয়ের আঘাতে লরিস আহত হলে কিছুটা সময় বন্ধ থাকে খেলা।

খেলার ৩৬ মিনিটে টানা আক্রমণের ফল পায় আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠে মেসির পায়ের জাদুতে বল নিয়ে এগিয়ে যায় অ্যালিস্টার। দুর্দান্ত দক্ষতায় বল পাঠান বামপাশে থাকা মারিয়ার কাছে। ‘ফাইনালম্যান’ ভুল করেননি, জোরাল শটে হুগো লরিসকে পরাস্ত করে মাতেন উদযাপনে। প্রথমার্ধে বড় ব্যবধানে এগিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়েন লিওনেল মেসি-ডি মারিয়ারা।