চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষক সমিতির দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি পালনের সময় একই স্থানে উদযাপিত হয়েছে প্রশাসন আয়োজিত ‘গণতন্ত্রের বিজয়’কর্মসূচি।
আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষক সমিতির অবস্থান কর্মসূচি শুরু হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে প্রশাসন আয়োজিত সংগীতানুষ্ঠান শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রশাসন আয়োজিত এই সংগীতানুষ্ঠানকে উপেক্ষা করেই শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ তাদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যায়।
অবস্থান কর্মসূচিতে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী আজগর চৌধুরী বলেন, ভিসির মদদে যেখানে সমিতি অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে, একই স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ নাম দিয়ে তারা গান, বাজনা, মঞ্চ নাটক করছেন আর সেখানে দর্শকের কাতারে বসিয়েছেন নিরাপত্তা অধিদপ্তরের কর্মীদের।
তিনি আরও বলেন, আমার জানা নেই, চবি প্রশাসনের এমন দীনতা কবে থেকে শুরু হয়েছে। যেখানে এমন আনন্দ উদযাপনের অনুমতি নেই, সেখানে তারা সমিতির কর্মসূচি বানচাল করতে পরিকল্পিতভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।
সেখানে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী চবি উপাচার্য ড. শিরীণ আখতারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, শেষ ভালো যার সব ভালো তার। আশা করি আপনি স্ব-সম্মানে বিদায় নেবেন। না হলে শেষ পর্যন্ত লেজ গুটিয়ে পালানোর রাস্তাও পাবেন না।
অপরদিকে প্রশাসন আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দর্শকের সাড়িতে বসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তাকর্মী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, দপ্তর থেকে বলা হয়েছে তাই এসেছি। আমরা এসবের কিছু জানি না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন নিরাপত্তা কর্মী বলেন, আমরা এমনেই এসেছি, নিজেদের ইচ্ছায়। তাই ড্রেস পড়িনি। নির্দেশ পেয়ে এসেছি। আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, তাই এসেছি।
এর আগে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগ এনে তাদের পদত্যাগের দাবিতে দ্বিতীয় দফায় ১৪ থেকে ১৬ জানুয়ারি টানা তিনদিনের অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি।