সাউথ আফ্রিকার কিংবদন্তি সাবেক অলরাউন্ডার মাইক প্রক্টর মারা গেছেন। হার্ট সার্জারির সময় জটিলতায় মারা যাওয়া আইসিসির সাবেক ম্যাচ রেফারির বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। দেশটিতে বর্ণবাদে ক্রিকেট বন্ধ হওয়ার পর প্রোটিয়াদের ফের ক্রিকেটে ফেরালে বর্ণবাদ পরবর্তী প্রথম কোচ ছিলেন প্রক্টর।
ডানহাতি সাবেক পেসারের অভিষেক ১৯৬৭ সালে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সবশেষ আফ্রিকাকে স্পোর্টস থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার আগে ১৯৭০ সালে প্রোটিয়াদের হয়ে শেষ টেস্টটি খেলেছিলেন। এ সময়ের মধ্যে মাত্র সাতটি টেস্ট খেলতে পেরেছিলেন ডানহাতি সাবেক ব্যাটার। যার সবগুলোই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
অদ্ভূত বোলিং স্টাইলের জন্য বিখ্যাত প্রক্টর সাত টেস্ট খেলে ১৫.০২ গড়ে ৪১ উইকেট শিকার করেছেন। তার ম্যাচসেরা বোলিং ১০৩ রানে ৯ উইকেট এবং ইনিংসসেরা বোলিং ৭৩ রানে ৬ উইকেট। ১৪ ইনিংস বল করে ৫ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন একবার এবং ৪ উইকেট নিয়েছেন ৩ বার।
অলরাউন্ডার হলেও সাত ম্যাচে ১৪ ইনিংসে ব্যাট করতে পারেননি প্রক্টর, করেছিলেন ১০ ইনিংসে। ২৫.১১ গড়ে ২২৬ রান করেছেন, যার সর্বোচ্চ ইনিংসটি ৪৮ রানের। অপরাজিত ছিলেন একটি ইনিংসে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশিদিন খেলতে না পারলেও প্রক্টরের ফার্স্টক্লাস ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। ৪০১ ম্যাচ খেলে ২১,৯৩৬ রান করেছেন, যার মধ্যে ৪৮টি সেঞ্চুরি আছে। তার ফিফটির সংখ্যা ১০৯টি এবং সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ২৫৪।
ফার্স্টক্লাসে ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও সমৃদ্ধ তার ক্যারিয়ার, নিয়েছেন ১,৪১৭ উইকেট। ইনিংসসেরা বোলিং ৭১ রানে ৯ উইকেট। ইনিংসে ৫ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন ৭০ বার এবং ম্যাচে ১০ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন ১৫ বার। ফার্স্টক্লাস ক্রিকেটের মতো লিস্ট-এ ক্যারিয়ারও বেশ সমৃদ্ধ তার। ৬,৬২৪ রানের পাশাপাশি ৩৪৪ উইকেট আছে সাবেক অলরাউন্ডারের।
সাউথ আফ্রিকার কোচ হওয়ার পর প্রক্টরের সময় দলটি ১৯৯২ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেছিল। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে নিয়মের বেড়াজালে ফেঁসে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যায় দলটি। পরে ২০০২-২০০৮ সাল পর্যন্ত আইসিসির এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন।