ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অনেক বছর আগে থেকে অনলাইনে অর্থ লেনদেনের জনপ্রিয় মাধ্যম ‘পেপ্যাল’ সেবা চালু থাকলেও বাংলাদেশে এর কার্যক্রম নেই। তবে আশার কথা, অনেক চেষ্টার পরে আগামী জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে দেশে চালু হচ্ছে এ সেবা। চালু করতে এরইমধ্যে সোনালী ব্যাংক ও পেপ্যাল চুক্তিপত্র চূড়ান্ত করেছে, বাকি শুধু আনুষ্ঠানিকতা। আইসিটি সেবা খাতে যারা অনলাইনভিত্তিক আইসিটি সেবা দিয়ে থাকেন, তাদের জন্য পেপ্যাল খুবই কাঙ্খিত একটি সেবা মাধ্যম। বিকল্প অনেক প্লাটফর্ম থাকলেও পেপ্যালের ধারে কাছে নেই কেউ। বিদেশে অর্জিত অর্থ দেশে আনতে দীর্ঘ দিন ধরেই পেপ্যাল সার্ভিস চালুর দাবি করে আসছেন ফ্রিল্যান্সাররা। এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সোনালী ব্যাংককে পেপ্যালের সঙ্গে চুক্তির অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত দু বছর ধরেই কাজ করছে সোনালী ব্যাংক ও পেপ্যাল। ওই সময় ওয়েবসাইটসহ অনলাইন অর্থ লেনদেনের প্রযুক্তিগত ও নিরাপত্তার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছিল বলে উভয়পক্ষের সূত্রে জানা গেছে। বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাই। বর্তমান সরকারের প্রযুক্তিমুখি তৎপরতার একটি বড় সাফল্য ‘পেপ্যাল’ এর কার্যক্রম শুরু করা। পেপ্যাল চালু হলে এর ৩ ধরণের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিশ্বের ১শ’ ৯০টি দেশ ও ২৩টি মুদ্রায় অর্থ লেনদেন ও কেনাকাটা করতে পারবেন বাংলাদেশীরা। এজন্য অতিরিক্ত চার্জ নেবে না সোনালী ব্যাংক। মানি লন্ডারিং ঠেকাতে বৈধ পথে অর্থ লেনদেনের এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথকে আরো সুগম করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কার্যকর যোগাযোগে সিলিকন ভ্যালির আরও অনেক প্রতিষ্ঠান ভারতের মতো বাংলাদেশেও তাদের সেবা কার্যক্রম ও কার্যালয় খুলবে এ আশাও করছি। প্রযুক্তি নিয়ে অহেতুক জুজুর ভয় নয়, প্রগতিশীল-বিজ্ঞানমনস্ক আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পেপ্যালের মতো সেবার প্রবেশ দেশে যেন সহজ হয়, এই আমাদের প্রত্যাশা।