ব্যাটিং আর বোলিংয়ে মোটেও নিজের চিরচেনা রূপে নেই সাকিব আল হাসান। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে টাইগার অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১০৪ রান। বাঁহাতি স্পিনেও আগের সেই ধার যেন আর নেই। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে না পারার দলের উপরও পড়ছে।
ফর্মে ফিরতে ঢাকায় ফিরে শৈশবের কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিমের কাছে ব্যাটিং সেশনও করেছেন। শেষ পর্যন্ত কিছুই কাজে আসেনি। বরং ব্যাট হাতে তাকে যেভাবে ভুগতে দেখা যাচ্ছে, তা অকল্পনীয়। সাকিবের অফফর্ম নিয়ে বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও বেশ বিষণ্ণ।
বর্তমানে দিল্লিতে দলের সঙ্গে অবস্থান করা সুজন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। বললেন, ‘সাকিব তো তার একশ ভাগের দশ ভাগও খেলতে পারেনি। এটা সাকিবও ভালো বোঝে। এজন্যই তো ও হয়তো ঢাকায় ট্রেনিং করতে গিয়েছিল। ও জানে যে পারফর্ম করার জন্য নিজে কতটা উদগ্রীব। খালি নিজের পারফরম্যান্স না, ও চায় দল জিতুক। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে দল পারফর্ম করতে পারছে না। দল জিততে পারছে না।’
২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বটেই বিশ্বের অন্যতম সেরা পারফর্মার ছিলেন সাকিব। ব্যাটিংয়ে ৬০৬ রান করা সাকিব বোলিংয়ে নিয়েছিলেন ১১ উইকেট। অথচ সেই সাকিবকে মাঠে এবার চেনাই যাচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে টাইগারদের টিম ডিরেক্টরের ভাষ্য, ‘২০১৯ বিশ্বকাপে যেভাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে, অধিনায়ক হিসেবে সেভাবে করতে না পারাও একটা কারণ হতে পারে।’
দলের সবাই এক সঙ্গে অফফর্মে যাওয়ায় বিস্মিত সুজন। কোনো ম্যাচেই লড়াই করতে না পারার হতাশাও লুকাননি। তাই ব্যর্থতার জন্য শুধু সাকিবকে দোষারোপ করতে তিনি নারাজ।
‘শুধু সাকিবের একার দোষ দিয়ে লাভ নেই। দলে তো সাকিব একা খেলে না, আরও ১০ জন খেলোয়াড় খেলে। অধিনায়কের দায়িত্বটা একটু ভিন্ন। কিন্তু খেলোয়াড় হিসেবে তো সবার দায়িত্ব এক। সাকিব যখন ব্যাটিং করে, তখন তো অধিনায়ক না। তখন সে একজন ব্যাটার। যখন বোলিং করে, তখন সে একজন বোলার। দিনশেষে সব ব্যাটার-বোলারকে একই দায়িত্ব নিতে হবে।’
‘অধিনায়ক হিসেবে আপনাকে সেই সমালোচনা নিতেই হবে, এটা খুব স্বাভাবিক। আমার মনে হয় সব সমালোচনা সাকিবের না, আমাদের সবার সমালোচনা হওয়া দরকার। বাংলাদেশ যখন আসে, তখন আমরা সবাই একটা দল। আমিও যেমন একটা অংশ। সেটা আমারও ব্যর্থতা। আমি মনে করি ব্যর্থতাটা আমাদের সবার, আমরা ভালো করতে পারিনি।’