কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদজায়া বরেণ্য সাহিত্যিক, মুক্তিযোদ্ধা ও নারীনেত্রী মুশতারী শফীকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে রুমানা শফী।
রুমানা শফী ছাড়াও চ্যানেল আই অনলাইনকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।
সোমবার সন্ধ্যায় রুমানা শফী জানান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে বেগম মুশতারী শফীর মরদেহ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে হবে প্রথম নামাজে জানাজা।
মেয়ে রুমানা শফী জানান, ঢাকায় প্রথম জানাজা শেষে মুশতারী শফীকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) তাকে দেয়া হবে ‘গার্ড অব অনার’। এরপর চট্টগ্রামেই হবে দাফন।
বেগম মুশতারী দীর্ঘ ধরে কিডনি-রক্তে সংক্রমণসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। সোমবার বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুশতারী শফীর লাইফ সাপোর্ট খুলে নিয়ে কর্তব্যররত ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন।
বেগম মুশতারী শফী ১৯৩৮ সালের ১৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একাধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য: ‘মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের নারী’, ‘চিঠি, জাহানারা ইমামকে’ ও ‘স্বাধীনতা আমার রক্তঝরা দিন’।
এছাড়াও তিনি প্রবন্ধ, উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনি, কিশোর গল্পগ্রন্থ, স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থও রয়েছে।
৬০ দশকে মুশতারী শফী চট্টগ্রামে ‘বান্ধবী সংঘ’ নামে নারীদের একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি তিনি ‘বান্ধবী’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। এবং ‘মেয়েদের প্রেস’ নামে একটি ছাপাখানা চালু করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অনন্য ভূমিকা রাখায় ২০১৬ সালে মুশতারী শফীকে ‘ফেলোশিপ’ প্রদান করে বাংলা একাডেমি। ২০২০ সালে ‘রোকেয়া পদক’ক ভূষিত হন তিনি।