নাটোরে পরকীয়ার জের ধরে হত্যার ২২ মাস পর টয়লেটের মেঝের নিচে পুঁতে রাখা মাফিজুল ইসলাম (২৮) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সামনে বিষয়টি প্রেস ব্রিফিংয়ে নিশ্চিত করেছেন নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম। তিনি জানান, রোববার (৩ মার্চ) নাটোর জেলার গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় বালিকা মাদ্রাসার টয়লেটের মেঝে খুঁড়ে মাফিজুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মাফিজুল এবং আসামী তানজিলা খাতুন একসাথে একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরীকে কাজ করতেন। সেই সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আরেক আসামী আল হাবিব সরকার এর সাথে তানজিলার বিয়ে হলেও তিনি মাফিজুলের সাথে মাঝে-মধ্যে কথাবার্তা বলতেন। বিষয়টি নিয়ে হাবিব ও তানজিলার মধ্যে পারিবারিক বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী তানজিলাকে দিয়ে মাফিজুলকে আরেক আসামী আবু তাহের খলিফার বাড়িতে ডেকে নেয় আল হাবিব। মাফিজুল সেখানে গেলে আল হাবিব ও তার সহযোগিরা তাকে ধরে মুখে স্কচটেপ প্যাচিয়ে, হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধ করে এবং লোহার শাবল দিয়ে বুকে আঘাত করে হত্যা করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করায় তাদের আদালতে পাঠানো হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত তিন দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।