দীর্ঘদিন ধরেই মুয়েলের-উয়েইস সিন্ড্রোমে ভুগছেন ছেলেদের এককে রেকর্ড ২২ বারের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী রাফায়েল নাদাল। এটি এমন এক রোগ যা পায়ে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা সৃষ্টি করে। এমন শারীরিক সমস্যা থাকার পরও তিন বছর পর আবারো উইম্বলডনে খেলতে চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলতি মাসে ফ্রেঞ্চ ওপেন জেতা ক্লে কোর্টের রাজা এবার তার গ্র্যান্ড স্লাম ট্রফির সংখ্যাকে ২৩-এ উন্নীত করতে চান।
৩৬ বর্ষী কিংবদন্তি ফ্রেঞ্চ ওপেন খেলার সময় পায়ের প্রচণ্ড ব্যথাকে পাত্তা না দিয়ে খেলে গিয়েছেন। একটি রেডিওফ্রিকোয়েন্সি নার্ভ অ্যাবলেশন নামের নতুন এক চিকিৎসা পদ্ধতির শরণাপন্ন হয়ে ঘন ঘন ইনজেকশন নিচ্ছিলেন। শরীরের এমন বেগতিক অবস্থা থাকা সত্ত্বেও জানালেন, উইম্বলডনে অংশ নেয়ার জন্য ঘাসের কোর্টে অনুশীলনও করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বার্সেলোনায় করা চিকিৎসায় তাৎক্ষণিকভাবে শতভাগ সুস্থ হয়ে যাওয়ার মতো ব্যাপার হয়নি। তবে আগের চেয়ে অবস্থার পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। আমার জয়েন্টের ব্যথা কমেছে। আমার লক্ষ্য উইম্বলডনে খেলা, সোমবার লন্ডন যাত্রা করবো।’
নাদাল সর্বশেষ ২০১৯ সালে উইম্বলডনে খেলেছিলেন। সেবার তিনি সেমিফাইনালে রজার ফেদেরারের কাছে হেরেছিলেন। ২০০৮ ও ২০১০ সালে তিনি ঘাসের কোর্টে শিরোপা জিতেছেন।
চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং ফ্রেঞ্চ ওপেনের চ্যাম্পিয়ন হওয়া স্প্যানিশ তারকা এখনো তার পায়ের চোট নিয়ে উদ্বেগের ভেতর রয়েছে। তবু তিনি উইম্বলডনে খেলার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।
‘আমার পায়ের অবস্থা দিনের পর দিন মূল্যায়ন করা উচিৎ। তাই এই মুহূর্তে আমি খেলতে পারবো এমন নিশ্চয়তা নেই। আমি শুধু জানি যে, টুর্নামেন্ট খেলতে চাই। তবে সতর্ক থাকতে হবে।’
‘প্রথম দিনগুলোতে আমার জটিল অনুভূতি ছিল। দিনের পর দিন আমি আরও সুস্থ হয়েছি। লন্ডনে আরও এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ আছে। আমি আশা করি, উইম্বলডনে খেলতে সক্ষম হবো এবং তা করার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারবো।’