সিনেমা ব্যবসার সবচেয়ে সুসময় ধরা হয় দুই ঈদকে। ইতোমধ্যে আসন্ন রোজার ঈদকে কেন্দ্র করে ছবি মুক্তির তোড়জোড় শুরু হয়েছে। প্রতিবছর ঈদে ছবি মুক্তি কেন্দ্র করে এক পক্ষ আরেক পক্ষের উদ্দেশে নেতিবাচক মন্তব্য করে আলোচনায় আসে।
সর্বশেষ কোরবানির ঈদে একই চিত্র দেখা যায়। তার আগের ঈদেও একই অবস্থা বিরাজমান ছিল। প্রতিবার গুটি কয়েক নির্মাতার কাদা ছোড়াছুড়িতে অশান্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয় চলচ্চিত্রপাড়ায়। কিন্তু এবার তেমনটি হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। যার পরিচালিত ‘ওমর’ ছবিটি মুক্তি পাবে আসন্ন ঈদে।
রাজের কথা, ঈদে যতগুলো সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে সেসব ছবির সঙ্গে জড়িতরা আমার ঘনিষ্ঠ। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘রাজকুমার’ আমার ভাইদের ছবি। শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে আগে সিনেমা করেছি। সেটিও একবার ঈদে এসেছিল। পরিচালক হিমেল আমার খুব কাছের ছোট ভাই, ছবিয়ালেও কাজ করেছে। শুটিং করার আগে সে রাজকুমারের গল্প আমাকে শেয়ার করেছিল। আর প্রযোজক আদনান ভাই আমার অতি আপজনদের একজন। তাই ‘রাজকুমার’ আমারই সিনেমা!
মোস্তফা কামাল রাজের ‘ওমর’ সিনেমার নায়ক শরিফুল রাজ। এই নায়কের ‘দেয়ালের দেশ’ ও ‘কাজল রেখা’ নামে আরো দুটি সিনেমা ঈদে মুক্তি পাবে। সেই প্রসঙ্গে নির্মাতা রাজ বলেন, রাজ আমার সিনেমার নায়ক। তার বাকি দুটো সিনেমার প্রতি আমার রেসপেক্ট আছে। কারণ রাজ থেকে শুরু করে সেইসব সিনেমার পরিচালক সবারই শ্রম আছে।
এগুলোর বাইরে সোনার চর, ডেডবডি, লিপস্টিক, জ্বিন-২ সিনেমাগুলো মুক্তির কথা আছে ঈদে। এক উৎসবে এতো ছবি আসার বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে সে প্রসঙ্গে মন্তব্য না করলেও ‘যদি একদিন’ ছবির নির্মাতা বলেন, কতগুলো সিনেমা আসবে ঠিক জানি না। যারাই আসবে সবার প্রতি আমার শুভ কামনা থাকবে। নির্মাতা হিসেবে আমি চাই দর্শক সব সিনেমা দেখুক। তবে দিনশেষে যে ছবিগুলোর মেরিট বেশি থাকবে সেগুলো দর্শক দেখবে।
‘ওমর’-এর চিত্রনাট্য করছেন সিদ্দিক আহমেদ। খোরশেদ আলমের প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে ‘মাস্টার কমিউনিকেশনস’র ব্যানারে। এটি মূলত থ্রিলার ও স্টোরি বেইজ ছবি। আরও আছেন ফজলুল রহমান বাবু, নাসিরউদ্দিন খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজি সিদ্দিকী, তানভীর হুরায়রা, এরফান মৃধা শিবলু প্রমুখ।
‘ওমর’ শিগগির সেন্সরে যাবে। পরিচালক রাজ বলেন, ১৫ রমজানের পরে ঈদের আমেজ আসে। তাই তখন থেকে আমরা ‘ওমর’র প্রমোশনে নামবো।
রাজ বলেন, “প্রত্যেক নির্মাতা তার সর্বোচ্চ মেধা ব্যয় করে ছবি বানান। একেকজনের মেধার পরিধি একেক রকম। কেউই খারাপ ছবি বানাতে চায় না। আমি ‘ওমর’-এ যে গল্পটি দেখাতে চাই, সেটাই দেখিয়েছি। দর্শক যদি আমার গল্পটি পছন্দ করেন তাহলে আমি সার্থক হবো, নইলে ব্যর্থ হবো।”