চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘দুই ছাত্রদল নেতার খুনীদের পক্ষে কাজ করছেন মির্জা ফখরুল’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নরসিংদীতে পদ বঞ্চিত জেলা ছাত্রদলের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় গুলিতে নিহত দুই ছাত্রদল নেতার খুনীদের পক্ষে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন নিহত জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাদেকুর রহমানের পরিবার।

সোমবার ৫ জুন দুপুরে নরসিংদী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন নিহত ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমানের বড় ভাই ও হত্যা মামলার বাদী মো. আলতাফ হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে আলতাফ হোসেন বলেন, অস্ত্র ব্যবসায়ী, ছিনতাই ও হত্যা মামলার আসামীদের দিয়ে জেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠনের পর অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সৃষ্টি হয়। এই নিয়ে মানববন্ধন, বিক্ষোভসহ বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি চালাচ্ছিল জেলা ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল ইসলামসহ পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। এই জেরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকনের নির্দেশে ছাত্রদল নেতা সিদ্দিকুর রহমান নাহিদসহ অন্যান্যরা গুলি করে ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল ইসলামকে হত্যা করে।

এই ঘটনায় খোকনসহ জড়িতদের আসামী করে থানায় হত্যা মামলা হওয়ার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিহত ছাত্রদল নেতাদের পক্ষে কোন প্রকার শোক জানিয়ে বিবৃতি দেননি। উল্টো তিনি মামলার আসামী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকনের পক্ষ নিয়েছেন। মহাসচিবের কাছে নিহত ছাত্রদল নেতার চাইতে খুনীরা গুরুত্বপূর্ণ। তাই তিনি হত্যা মামলাকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে ও সরকার দলীয় তকমা লাগিয়ে দলের জড়িত প্রকৃত খুনীদের আড়াল করতে চাইছেন।  তিনি খোকনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিবৃতি দেন, হত্যার শিকার ছাত্রদল নেতাদের ঘটনায় চুপ থেকে উল্টো মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছেন।

গত ২৫ মে বিকেলে নরসিংদীর চিনিশপুরে খায়রুল কবীর খোকনের বাসভবন সংলগ্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সাদেকুর রহমান এবং ছাত্রদল নেতা আশরাফ হোসেন। এঘটনায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর দুইভাগে বিভক্ত হয় নরসিংদীর ছাত্রদল। গত ২৫ মে খায়রুল কবির খোকনের বাসভবনের সামনে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতারা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ করার সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয় ২ ছাত্রদল নেতা।

নিহতদের পরিবারের দাবী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন এবং তার স্ত্রী বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানার নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। খায়রুল কবির খোকনকে বাঁচাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছেন।