‘আমি মার্টিনেজ, বাংলাদেশের বাজপাখি’- একথা বলে যেন নতুন করে এদেশের মানুষের হৃদয় জয় করে নিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। আকাশী-সাদাদের গোলপোস্টের প্রহরী আবারও ঢাকায় আসতে চান, এবার আসতে চান লিওনেল মেসিসহ, আর্জেন্টিনা দলকে নিয়ে বাংলাদেশে এসে লাল-সবুজের দলের বিপক্ষে খেলার ইচ্ছার কথাও জানিয়ে গেলেন ‘বাজপাখি’ এমি।
সোমবার পৃষ্ঠপোষক ফাউন্ডনেক্সট ও নেক্সট ভেনচার টিমের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন মার্টিনেজ। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের ডাক এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। সেখানে আড্ডায় মাতেন বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক।
আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের সঙ্গে সাক্ষাতের পর প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গণমাধ্যমে জানান, ‘এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউতে এমি বলেছেন, আগামীতে আবারও বাংলাদেশে আসতে চান। আর্জেন্টিনা দলকে নিয়ে আসতে চান। বাংলাদেশের সঙ্গে খেলতে চান।’
‘এমি মার্টিনেজ বাংলাদেশের মানুষকে কতটা ভালোবাসেন তা দেখা গেল। ৩৬ ঘণ্টা ভ্রমণ করে ১১ ঘণ্টার জন্য হলেও বাংলাদেশে এসেছেন। বলেছেন ছুটিটা আরও ভালোভাবে কাটাতে পারতেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ যে আর্জেন্টিনাকে ও তাকে এতো ভালোবাসে, এ কারণে আমন্ত্রণ ফেলতে পারেননি।’
‘এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউতে অনেককিছু শেয়ার করেছেন। ফুটবলার হওয়ার জন্য ১২ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়েছিলেন। সেই যাত্রা ও সংগ্রাম কতটা কঠিন ছিল, কীভাবে নিজের স্বপ্নপূরণ করেছেন, সেগুলো বলেছেন। বাংলাদেশের মানুষের জন্য তার যে আবেগ, অনুভূতি ও ভালোবাসা, সেগুলো ব্যক্ত করেছেন।’
‘বাংলাদেশের মানুষ যে তাকে বাজপাখি বলে, সেটা জানেন। বাংলাদেশের দেয়া ইউনিক একটা নামে তাকে সবাই ডাকে, এজন্য খুব আনন্দিত। নিজেকে বাংলাদেশের বাজপাখি হিসেবে পরিচয় দিতে খুব আনন্দ পান, এটাও আমাদের বলেছেন।’
ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। ফাইনালে তো বটেই, টুর্নামেন্টজুড়েই ‘বাজপাখির’ মতো ক্ষিপ্র ও ছোঁ মেরে বল ঠেকিয়ে সম্মুখযোদ্ধা ছিলেন গোলরক্ষক মার্টিনেজ। ঢাকায় এসে বাংলাদেশি ভক্তদের দেয়া সেই ‘বাজপাখি’ নাম বাংলায় বলেছেন আলবিসেলেস্তে তারকা।
আর্জেন্টিনা যখন কোপা আমেরিকা জিতল, লিওনেল মেসি জিতলেন বড় আসরে প্রথম কোনো জাতীয় দল শিরোপা, তখন গোলপোস্টের সামনে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন মার্টিনেজ। তখন থেকেই বাংলাদেশি সমর্থকরা তাকে ‘বাজপাখি’ ডাকা শুরু করে।