লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচের শেষদিকে পেনাল্টি পায় ম্যানচেস্টার সিটি। তারকা ফরোয়ার্ড আর্লিং হালান্ডের পেনাল্টি নেয়ার কথা থাকলেও হ্যাটট্রিক পেতে সতীর্থ ইলকাই গুন্ডোয়ানকে বল এগিয়ে দেন হালান্ড। স্পট কিক থেকে গোল তুলতে ব্যর্থ হন সিটি অধিনায়ক। তাতে হালান্ডের উপর বেশ চটেছেন কোচ পেপ গার্দিওলা।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শনিবার লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় তুলেছে ম্যানসিটি। প্রথমার্ধে গুন্ডোয়ানের জোড়া গোলে এগিয়ে গেলেও শেষদিকে ব্যবধান কমায় লিডস।
ঘরের মাঠে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চাপে রাখে ম্যানসিটি। সুবাদে ১৯ ও ২৭ মিনিটে গোল করেন মিডফিল্ডার গুন্ডোয়ান। আসে হ্যাটট্রিকের সুযোগ। যে কারণে নিজে শট না নিয়ে পেনাল্টি অধিনায়কের জন্য ছাড়েন হালান্ড। বিষয়টি নিয়ে বেশ বিরক্ত গার্দিওলা বলেছেন, ‘পেনাল্টি যার নেয়ার কথা, তাকেই নিতে হবে।’
৫২ বর্ষী গার্দিওলা বলেছেন, ‘‘গুন্ডো গোল পেলে সবাই বলত, ‘ঠিক আছে, হ্যাটট্রিক, ওয়েল ডান।’ কিন্তু পেশাদারিত্বের দিক থেকে চিন্তা করলে ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর কোনো অবস্থাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত নয়।’’
পেনাল্টি নেয়ার আগে অবশ্য শঙ্কায় ছিলেন ৩২ বর্ষী মিডফিল্ডার গুন্ডোয়ান। দুই গোল পাওয়ায় আত্মবিশ্বাসী থাকলেও শেষপর্যন্ত আরেকবার জালের দেখা পাননি। ম্যাচ শেষে তার কথাতেই উঠে আসে গার্দিওলার চটার বিষটি। বলেছেন, ‘প্রথমে তিনি(গার্দিওলা) হালান্ডকে দেখিয়েছেন যে তিনি বেশ ক্ষিপ্ত এবং পরে তা আমাকে দেখিয়েছেন।’
পেনাল্টি শটের ব্যাপারে গুন্ডোয়ান বলেছেন, ‘যে মুহূর্তে আর্লিং বলটি ধরল, নিশ্চিত ছিলাম সে নিজেই শট নেবে, কিন্তু সে তাকিয়ে ছিল আমার দিকে। তখন নিশ্চিত হতে পারছিলাম না যে আমাকে বল দেয়া হবে। কয়েকবার চেক করে বিষয়টি নিশ্চিত হই। তবে আমিও আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’
সেই গোলটি না হলেও প্রিমিয়ার লিগে জয় পেয়েছে ম্যানসিটি। ৩৪ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে গার্দিওলার দল। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে আর্সেনাল।
পেনাল্টির ঘটনা নিয়ে বিরক্ত হলেও ম্যাচে দুর্দান্ত ছিল গার্দিওলার দল। কোচ তাই বলেছেন, ‘পারফরম্যান্স দুর্দান্ত ছিল। আমরা সত্যিই অনেক ভালো খেলেছি। এমনটাও হতে পারত হালান্ড পেনাল্টি মিস করেছে। হয়তো গুন্ডোয়ান গোল করতে পারত। তবে তখন আমরা ২-০তে এগিয়ে ছিলাম। নিয়মিত পেনাল্টি নেয় কে? আর্লিং।’
ক্ষুব্ধ বলেও হালান্ডের প্রশংসা করেছেন পেপ, ‘দ্বিতীয় বিষয় হল, মানুষ হিসেবে আর্লিং এমনই। সে অবিশ্বাস্য, সবসময় গোল পেতে চেষ্টা করে। সঙ্গে তার কাছে দল ও সতীর্থরাও গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচে তার গোল করার সুযোগ ছিল, কিন্তু গোল করতে না পারলেও সে দারুণ খেলেছে। ইংল্যান্ডের ফুটবলে ২-০ ব্যবধান তেমন কিছুই নয়। আমার চাওয়া সে যেন নিয়মিত পেনাল্টি নেয়। কারণ এ ব্যাপারে সে বিশেষজ্ঞ।’