কানাডার টরন্টোয় সড়ক দুর্ঘটনায় জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড়ের লাইসেন্স বৈধ ছিল। দুর্ঘটনার পর প্রভিন্সিয়াল পুলিশের রিপোর্টে গাড়ির বিবরণে উল্লেখ করা বলা হয়েছে, গাড়িটি ঘণ্টায় ১০০+কি.মি গতিতে চলছিল। গাড়িতে মোট ৪ জন যাত্রী ছিলেন যাদের তিনজন মারা গেছেন।
কলিশন রিপোর্টে প্রপার লাইসেন্স টু ড্রাইভ ক্লাশ অব ভিহিকল এ উল্লেখ করা হয়েছে ‘ইয়েস’। সাসপেনডেন্ট ড্রাইভারের উত্তরে লেখা আছে ‘নো।’ কলিশন রিপোর্ট অনুসারে নিবিড় কুমার দে বৈধ লাইসেন্স নিয়েই গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
বর্তমানে কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার দে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। টরোন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। কুমার বিশ্বজিৎ দম্পতি বর্তমানে টরোন্টোতে অবস্থান করছেন।
অন্যদিকে নিবিড়ের চাচা অভিজিৎ দে ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, অন্টারিওর প্রভিন্সিয়াল পুলিশ তাদের কলিশন রিপোর্টের কপি দিয়েছে। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তা মিস্টার মার্ক বলেছেন, এটি একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা, দুর্ঘটনায় তারা মাদক বা ড্রাগের কোন সম্পৃক্ততা পাননি। পুলিশ আরো তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন বলেও অভিজিৎ দে জানিয়েছেন।
কানাডার স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় টরেন্টোতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। এতে আহত হন কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার। টরন্টোর হাইওয়ে ৪২৭-এর দুনদাস স্ট্রিট ওয়েস্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় গাড়িটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। সড়ক বিভাজকে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি উল্টে আগুন ধরে যায় বলে দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
ইতিমধ্যে নিহত শাহরিয়ার খান ও আরিয়ান দীপ্তর মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।