দীর্ঘ ২২ বছর পর কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচরের চাঞ্চল্যকর কৃষক মুজিবর রহমান হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কাজল মিয়া (৪৫) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার ২১ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম জেলার বায়েজিদ থানাধীন বেলতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল।
গ্রেপ্তার হত্যা মামলার পলাতক আসামি কাজল মিয়া কুলিয়ারচর উপজেলার মাইজ পাড়া এলাকার মৃত নাজির মিয়ার ছেলে।
র্যাব-১৪, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এম এম সবুজ রানা বুধবার ২২ মার্চ বেলা ১১টায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, ২০০০ সালের ২৫ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার মাইজপাড়া এলাকার গ্রেপ্তার আসামি মো. কাজল মিয়ার বাড়ীর সামনে পূর্ব শত্রুতার জেরে ভিকটিম মজিবুর রহমানকে একা পেয়ে আংগুর মিয়া, ধনু মিয়া, মো. কাজল মিয়া, ফজলু মিয়া ও নাজির উদ্দিন মিলে ভিকটিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। ওই ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে আয়াতুল্লাহ বাদী হয়ে উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে কুলিয়ারচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে (মামলা নং-৭(১)২০০০, জিআর নং-৩০(২)২০০০, ধারা-৩০২/৩৪ দঃ বিঃ)। পরবর্তীতে মামলাটি আদালতে বিচার শেষে আদালত মামলায় উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীন কারাদণ্ড প্রদান করেন। আসামি ধনু মিয়া এবং নাজির উদ্দিন ইতিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে এবং আসামি আংগুর মিয়া এবং ফজলু মিয়া বর্তমানে জেলা কারাগারে আছে। গ্রেপ্তার আসামি কাজল মিয়া ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যায় এবং সাজা থেকে বাঁচতে কিশোরগঞ্জ ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় তার নাম ও বেশ পরিবর্তন করে দীর্ঘ ২২ বছর যাবত পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।
আসামি কাজল মিয়াকে গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব-১৪, সিপিসি-২ ও কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর চট্টগ্রাম জেলার বায়েজিদ থানা এলাকায় তার অবস্থান নিশ্চিত করে। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম জেলার বায়েজিদ থানাধীন বেলতলা এলাকা থেকে র্যাব-১৪, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক এম.এম. সবুজ রানা এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কাজল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-১৪, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এম এম সবুজ রানা জানান, হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।