মৃত্যুদণ্ডের সাজা মাথায় নিয়ে দেশের কারাগারগুলোর কনডেম সেলে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীর সংখ্যা ২১৬২ জন। যার মধ্যে পুরুষ বন্দী ২০৯৯ জন আর নারী বন্দী ৬৩ জন।
কনডেম সেলে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দির সংখ্যা জানতে চেয়ে হাইকোর্টের আদেশের পর কারা মহাপরিদর্শকের পক্ষে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক শেখ সুজাউর রহমানের দেয়া প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে যে, সারাদেশের কারাগারগুলোতে সেলের সংখ্যা ২৬৫৭ টি। যার মধ্যে পুরুষ ২৫১২ ও মহিলা ১৪৫ টি।
বন্দীদের সুযোগ-সুবিধা বিষয়ে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, কনডেম সেলের বন্দীদের কারা বিধি মোতাবেক নির্ধারিত ডায়েটে স্কেল অনুযায়ী খাদ্য প্রদান ও নির্ধারিত পোষাক প্রদানের পাশাপাশি নিয়মিত চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এছাড়া কারা বিধি মোতাবেক আত্মীয়-স্বজন ও আইনজীবীদের সাথে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়। সেই সাথে ধর্মীয় শিক্ষা এবং বই পড়ার সুযোগ দেয়া হয়। আর ধূমপায়ীদের বিড়ি সিগারেট প্রদান করা হয়। এছাড়া বন্দীদের সেল সংলগ্ন আঙিনায় গোসল ও শরীর চর্চার সুযোগ দেয়া হয় এবং আপিল দায়ের সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পাদনে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়।
বিচারিক ও প্রশাসনিক ফোরামের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত ব্যক্তিকে কনডেমড সেলে রাখার বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে রিট করেন মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত হয়ে কনডেমড সেলে থাকা তিন আসামি। এই রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
শুনানির পর হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কারাগারের কনডেম সেলে রাখা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। সেই সঙ্গে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের কনডেমে রাখা সংক্রান্ত জেল কোডের ৯৮০ বিধি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে সারাদেশের কারাগারগুলোতে কনডেম সেলে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দির সংখ্যা ও কনডেম সেলের বন্দীদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় তা কারা মহাপরিদর্শককে প্রতিবেদন আকারে দিতে নির্দেশ দেন।