শেরপুর সদরের কামারেরচর ইউনিয়নের পয়স্তিরচর গ্রামে এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দাদি ও নাতির মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় বসতঘর, একটি গোয়ালঘর পুড়ে যাওয়াসহ ৪টি গরু মারা যায়।
নিহতরা হলেন, পয়স্তিরচর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আমান উল্লাহ মন্টুর স্ত্রী ও কামারেরচর ইউনিয়নের সাবেক মহিলা মেম্বার ফিরোজা বেগম (৭০) এবং তার নাতি হাবিবুর রহমানের ছেলে শরিফ হোসেন (৭)।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৩টার দিকে গোয়াল ঘরের আগুন থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোরে পয়স্তিরচর গ্রামে কৃষক আমান উল্লাহর গোয়াল থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পাশের বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে গোয়ালঘর ও বসতঘর ভস্মীভূত হয়। বসতঘরে ঘুমন্ত শিশু শরীফ আগুনে পুড়ে মারা যায়। আর ফিরোজা বেগম গরুগুলোকে আগুন থেকে বাঁচানোর জন্য গোয়ালঘরে গেলে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সুত্রে আরও জানা গেছে, সংবাদ পেয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশু শারিফের মরদেহ উদ্ধার করে এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফিরোজা বেগমকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাস্পাতালে নিয়ে গেলে সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৮ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন শেরপুর ফায়ার সাভিসের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন।
শেরপুর সদর থানার ওসি এমদাদুল হক, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য আবেদন করেছে পরিবার। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।